আইন আদালত ডেস্ক
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জুলফিকার আলী শিমুল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইব্রাহিম খলিল, আইয়ুব আলী ও মন্টু আলমের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। এই প্রজ্ঞাপন রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বাক্ষরিত পৃথক প্রজ্ঞাপনে সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) জারি করা হয়।
গত ৪ নভেম্বর সরকার সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য ৪১ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) এবং ৬৭ জন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল (এএজি) নিয়োগ দিয়েছিল। এরপর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সলিসিটর মঞ্জুরুল হোসেন স্বাক্ষরিত পৃথক প্রজ্ঞাপনে চারজনের নিয়োগ বাতিলের তথ্য জানানো হয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট সরকারের পরিবর্তনের পর ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৩ আগস্ট আইনজীবী আব্দুল জব্বার ভুঁইয়া, অনীক আর হক ও মোহাম্মদ আরশাদুর রউফকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে ২৮ আগস্ট ৬৬ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ১৬১ জন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ দেওয়া হয়।
নিয়োগ বাতিলের এই প্রজ্ঞাপন আইন ও প্রশাসনের স্বচ্ছতা বজায় রাখার অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত কারণ প্রজ্ঞাপনে প্রকাশ করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আর্থিক, প্রশাসনিক বা বিচারিক কারণে এই পদ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
বৃহত্তর আইন প্রশাসন ও সরকারি চাকরিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিশ্লেষকরা বলছেন, নিয়োগ বাতিলের এই ধারা পদে যোগদানপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দক্ষতা, যোগ্যতা এবং প্রশাসনিক প্রয়োজন অনুযায়ী গ্রহণযোগ্যতার সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে আশা প্রকাশ করা হয়েছে, এই পদক্ষেপ আইন বিভাগের কার্যকারিতা ও আদালতের মামলার সমাধানে সহায়ক হবে।
সংশ্লিষ্ট আদালত ও আইনশৃঙ্খলা সংস্থাগুলি এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য দেয়নি। তবে দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থা স্বচ্ছ ও কার্যকর রাখার জন্য নিয়মিত নিয়োগ ও নিয়োগ বাতিল প্রক্রিয়া চলমান থাকবে বলে সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।


