বগুড়ায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ৬৭৫ নেতা-কর্মীকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। বগুড়া সদর ফাঁড়ির এসআই জিলালুর রহমান বাদী হয়ে বুধবার রাতে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের রাইফেলের ট্রিগারগার্ড ছিনিয়ের নেওয়া অভিযোগ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ারও অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদের অজ্ঞাতনামা দেখানো হয়েছে। এজাহারে উল্লেখিত আসামিদের মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ২৯ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম বদিউজ্জামান জানান, অন্য আসামিদের গ্রেফতারে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে ছাত্রদল বগুড়া জেলা কমিটির সভাপতি আবু হাসান পুলিশের দায়ের করা মামলাকে ভিত্তিহীন দাবি করেছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছেন এবং সরকারি চাকরি করছেন- এমন ব্যক্তিদেরও আসামি করা হয়েছে। এ থেকে মামলার অভিযোগগুলো সত্য নয় বলেই প্রমাণ হয়।
গত ১ জানুয়ারি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে যোগ দিতে আসা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা দুপুরে শহরের শহীদ খোকন পার্কে জমায়েত হয়। পরে তারা জুতা-স্যান্ডেল পায়ে শহীদ মিনারের বেদিতে উঠে পড়ে। এ সময় তাদের নামিয়ে দিতে গেলে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তীসহ ৫ সদস্য আহত হয়। তাদের মধ্যে পারভেজ নামের এক কনস্টেবলের মাথা ফেটে যায়। তাকে বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই ঘটনার পর পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ১১ জনকে আটক করে। পরে আরও ১৮ জনকে আটক করে সবাইকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
মামলার এজাহারে স্বেচ্ছাসেবক দল বগুড়া জেলা কমিটির আহ্বায়ক মাজেদুর রহমান জুয়েল, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খাদেমুল ইসলাম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমকে হামলার নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ওই তিনজনের নির্দেশে ছাত্রদল বগুড়া জেলা কমিটির সভাপতি আবু হাসান ও সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যানসহ অন্যরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে।