কুয়েতে মানবপাচার ও মানি লন্ডারিংয়ে অভিযুক্ত তিন বাংলাদেশির মধ্যে একজন গ্রেফতার হয়েছেন। আর দুজন দেশে ‘পালিয়ে’ আসেন। তাদের একজন হলেন বাংলাদেশের সংসদ সদস্য।
গত বুধবার কুয়েতের আরবি দৈনিক আল কাবাস মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেটা আবার আরব টাইমস ও কুয়েতি টাইমস প্রকাশ করে। সেখানেই সেই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে মানবপাচারে জড়িত থাকার তথ্য উঠে আসে। তবে সংসদ সদস্যের কোনো নাম-পরিচয় প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মানবপাচার চক্রটিতে সন্দেহভাজন তিন ব্যক্তি রয়েছেন। একজন গ্রেফতার হলে বাকি দুজন কুয়েত থেকে দেশে চলে এসেছেন। কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ‘আল কাবাস’ পত্রিকা এ খবর দিয়েছে।
কুয়েতের সিআইডির বরাত দিয়ে বলা হয়, চক্রটি ২০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে কুয়েতে এনেছিলো। যাতে তাদের ৫ কোটির বেশি কুয়েতি দিনার আয় হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, অবাক করার বিষয় হলো, ওই তিনজনের মধ্যে একজন বাংলাদেশি সংসদ সদস্য। তিনি বাংলাদেশের একটি বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য।
নিয়মিতভাবে তিনি কুয়েত ও বাংলাদেশে আসা যাওয়া করেন। এই সংসদ সদস্য কখনো কুয়েতে ৪৮ ঘণ্টার বেশি থাকেন না। মানব পাচারের বিরুদ্ধে সিআইডির অভিযানের কথা জানতে পেরে এক সপ্তাহ আগে তিনি কুয়েত ছেড়ে দেশে চলে আসেন।
সূত্র জানায়, কুয়েতে তার পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটি পাঁচ মাস ধরে কর্মীদের বেতন দিচ্ছে না। সেই দেশে তিনি যে প্রতিষ্ঠানটি চালাচ্ছিলেন তার ফাইল স্থগিত করা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কুয়েতে জনশক্তি রপ্তানির জন্য সরকারি কার্যাদেশ পেতে ঘুষ হিসেবে সেখানকার সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তাদের পাঁচটি বিলাসবহুল গাড়ি দিয়েছেন ওই সংসদ সদস্য।
সূত্রগুলি জানায়, কুয়েতের সিআইডি সদস্যরা তদন্ত করে জানতে পারেন, এই তিনজনের মধ্যে বাংলাদেশি কর্মীদের একটি বিশাল নেটওয়ার্ক রয়েছে। তারা মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত।