করোনাভাইরাস যখন প্রথম মহামারী আকার নিতে শুরু করে তখন পর্যন্ত জানা যায় এই ভাইরাস ফুসফুসের ওপর আক্রমণ করে। সেই কারণে রোগীদের শ্বাসকষ্ট হয়। উপসর্গ হিসেবে শুকনো কাশি, হাঁচি ও জ্বর থাকে। তারপর জানা যায়, অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের কোনও উপসর্গ থাকে না। আবার কিছু ক্ষেত্রে ঘ্রাণের অনুভূতি হারিয়ে ফেলেন আক্রান্তরা।
কিন্তু আমেরিকায় কিছু আক্রান্তের শরীরে এমন আলাদা রকমের প্রভাব ফেলছে এই নোভেল করোনাভাইরাস, যা দেখে রীতিমতো চিন্তায় সেখানকার ডাক্তাররা। সেখানে কোনও কোনও আক্রান্তের শরীরে জমে যাচ্ছে রক্ত। করোনাভাইরাস মিউটেড হয়ে এই প্রভাব ফেলছে কিনা, তা নিয়েই কপালে চিন্তার ভাঁজ সেখানকার চিকিৎসকদের।
রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, মাউন্ট সিনাইতে বেশ কিছু নেফ্রোলজিস্ট জানিয়েছেন বেশ কিছু করোনা আক্রান্তের কিডনিতে রক্ত জমাট বেধে যাচ্ছে। আবার পালমনোলজিস্টরা জানিয়েছেন মেকানিক্যাল ভরন্টিলেটরে থাকা বহু রোগীর ফুসফুসের কিছু অংশ অদ্ভুতভাবে রক্তশূন্য হয়ে পড়ছে। অন্যদিকে, নিউরোলজিস্টরা জানিয়েছেন এই সময়ে অল্পবয়সীদের মধ্যে স্ট্রোকের ঘটনা অনেক বেড়ে গিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে ওই অঞ্চলের নিউরোসার্জেন ডা. জে মোককো জানান, ‘বড়ই অদ্ভুত যে এই ভাইরাসের ফলে অনেকের দেহে রক্ত জমাট বেঁধে যাচ্ছে। শেষ কিছু সময়ে অল্পবয়সীদের মধ্যে স্ট্রোকের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে যা অস্বাভাবিক অনেকটাই। শেষ ৩২ জন অল্পবয়সী রোগী যাদের স্ট্রোক হয়েছে, তাদের অর্ধেকেই করোনা আক্রান্ত। এই বিষয়টা বেশ বিপজ্জনক বলে মনে হচ্ছে।’