সাধারণ ফ্রিজ থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কা নেই। ফ্রিজ থেকে করোনা ছড়িয়েছে এমন কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি। তবে মার্কিন ভাইরোলজিস্ট ও গবেষণা বিজ্ঞানী ডা. ওয়ার্নার গ্রিন বাইরে থেকে কাঁচামাল ক্রয় করে ফ্রিজে রাখার আগে জীবানুমক্ত করে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
ভাইরাস বিশেষজ্ঞ অমিতাভ নন্দী জানিয়েছেন, ফ্রিজ থেকে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে, যদি সে ফ্রিজের তাপমাত্রা -১৯০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড হয়। এটা একমাত্র সম্ভব গবেষণাগারে। ভাইরাস নিয়ে গবেষণা হয় যে সমস্ত ল্যাবরেটরিতে সেখানে তরল নাইট্রোজেনের সাহায্যে ফ্রিজের তাপমাত্রা কমিয়ে ভাইরাসের নমুনা জমিয়ে রাখা হয়। যাকে বলে ক্রায়ো প্রিজারভেশন। তারপর কাজের সময় তাকে বাইরে বার করে ধাপে ধাপে তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে নিয়ে এলে ভাইরাস জ্যান্ত হয়ে ওঠে। অসাবধান হলে তখন সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ ফ্রিজ থেকে করোনা সংক্রমণর ভয় নেই। কারণ ঘরোয়া ফ্রিজে ফ্রিজারের তাপমাত্রা থাকে ০ থেকে -২/-৩ ডিগ্রির মতো। ফ্রিজের সাধারণ অংশে ৪-৮/১০ ডিগ্রি, কখনও আরও বেশি। এই তাপমাত্রায় করোনাভাইরাস কতক্ষণ জীবিত থাকে তা নিয়ে কোনও গবেষণা হয়েছে বলে শুনিনি। যদি তর্কের খাতিরে ধরে নিই বেঁচে থাকে, সে ছড়ায় কীভাবে? ফ্রিজ খোলামাত্র লাফ দিয়ে নাকে-মুখে ঢুকে যায়? ক’টা ঢোকে? কোন পথে ঢোকে? ফ্রিজের তাপমাত্রা থেকে ঝট করে শরীরের তাপমাত্রায় এসে কতক্ষণ বেঁচে থাকে, কীভাবে বংশবৃদ্ধি করে? তিনি ভুয়া খবর না ছড়াতে সবার প্রতি অনুরোধ জানান।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা