বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হতে আট রুট

ভারত তার প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ সম্প্রসারণে নজর দিয়েছে। গত মাসেই চট্টগ্রাম নৌবন্দর দিয়ে ভারতের কলকাতা থেকে পণ্যবাহী জাহাজযোগে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক পণ্য পরিবহন শুরু হয়েছে।ভারত সরকার আশা করছে, এই পরীক্ষামূলক জাহাজ চলাচলের মাধ্যমে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলের উন্নয়নের পাশাপাশি ঢাকার সঙ্গে বাণিজ্য যোগাযোগ উন্নত হবে।

ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় যোগাযোগ বাড়াতে আটটি রুট চিহ্নিত করা হচ্ছে।
মুজিব বর্ষ
ঢাকা | রোববার, ০৯ আগস্ট ২০২০ | ২৫ শ্রাবণ ১৪২৭ |
৩৩ °সে
হোম
জাতীয়
বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হতে আট রুট
অনলাইন ডেস্ক১১:৪৫, ০৯ আগস্ট, ২০২০ | পাঠের সময় : ১.৪ মিনিট
facebook sharing buttontwitter sharing buttonmessenger sharing buttonwhatsapp sharing buttonsharethis sharing button
বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হতে আট রুট
বাংলাদেশ-ভারত
ভারত তার প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ সম্প্রসারণে নজর দিয়েছে। গত মাসেই চট্টগ্রাম নৌবন্দর দিয়ে ভারতের কলকাতা থেকে পণ্যবাহী জাহাজযোগে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক পণ্য পরিবহন শুরু হয়েছে।

Ad by Valueimpression
ভারত সরকার আশা করছে, এই পরীক্ষামূলক জাহাজ চলাচলের মাধ্যমে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলের উন্নয়নের পাশাপাশি ঢাকার সঙ্গে বাণিজ্য যোগাযোগ উন্নত হবে।

ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় যোগাযোগ বাড়াতে আটটি রুট চিহ্নিত করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, উভয় পক্ষই মনে করে, আকাশ, নৌ, রেল ও সড়কপথে যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে পারস্পরিক কল্যাণের স্বার্থে দুই দেশের মধ্যেই অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।

গত বছর দুই দেশ ভারত থেকে বিশেষ করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চল থেকে পণ্য পরিবহণে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরস (এসওপিএস) চূড়ান্ত করে। এই চুক্তিটি নৌ, রেল, সড়ক বা বহুমুখী পরিবহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে পণ্য পরিবহণের অনুমতি দেয়।

এক্ষেত্রে চিহ্নিত আটটি রুট হলো, চট্টগ্রাম/মংলা বন্দর থেকে আখাউড়া হয়ে আগরতলা (ত্রিপুরা), চট্টগ্রাম/মংলা বন্দর থেকে তামাবিল হয়ে ডাউকি (মেঘালয়), চট্টগ্রাম/মংলা বন্দর থেকে শেওলা হয়ে সুতারকান্দি (আসাম) এবং চট্টগ্রাম/মংলা বন্দর থেকে বিবির বাজার হয়ে শ্রীমন্তপুর (ত্রিপুরা) এবং তার বিপরীত।

একজন ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, এই পরীক্ষামূলক পরিবহণ কার্যক্রম উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলের উন্নয়নে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ভারত সরকার বুঝতে পেরেছে যে, ঢাকায় ভারতের মিত্র সরকার থাকা সত্ত্বেও দুই দেশের সম্পর্ক উন্নত করতে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। কারণ একই সময়ে চীন বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সংযোগ বাড়াতে অনেক বেশি মনোযোগী। বাংলাদেশের ৯৭ শতাংশ পণ্যকে ১ জুলাই থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে চীন বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নত করতে সচেষ্ট হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং কোভিড -১৯ মহামারী চলাকালীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করার এক মাসের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন।

আন্তর্জাতিক শীর্ষ সংবাদ