সাখাওয়াত হোসেনসংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কঠোর নজরদারির অভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলে বাড়ছে নানা প্রতারণার ঘটনা। এ অপতৎপরতা ঠেকাতে কাগজে কলমে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও বাস্তবে তা তেমন কাজে আসছে না। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ব্যাংকিং ব্যবস্থার ওপর সাধারণ মানুষের আস্থার সংকট যাতে তৈরি না হয়, এজন্য এ ব্যাপারে আরও সতর্ক হতে হবে। সংশ্লিষ্টরা জানান, ঘুষ-দুর্নীতি, জঙ্গি বা সন্ত্রাসে অর্থায়ন, মানব পাচার, চোরাচালান, মুদ্রা জাল ও প্রতারণাসহ যে কোনো অপরাধের মাধ্যমে অর্থ আয়, অর্থ পাচার ও বেআইনি কোনো লেনদেনকে সাধারণভাবে মানি লন্ডারিংয়ের আওতায় ধরা হয়। এসব ক্ষেত্রে কোনো সন্দেহজনক লেনদেন হলে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা কোম্পানি, শেয়ারবাজারের ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে (বিএফইইউ) রিপোর্ট করে। যাকে সন্দেহজনক লেনদেন প্রতিবেদন (এসটিআর) বলা হয়। এসব প্রতিবেদন ধরে তদন্ত করে বিএফইইউ। এরপর ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন সংস্থায় পাঠায়। অথচ সম্প্রতি কয়েকটি ব্যাংকে বেশ কিছু সন্দেহজনক লেনদেন হলেও তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে আসেনি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এসব অস্বাভাবিক লেনদেনের বিষয়ে বিএফইইউকে অবহিত করা হয়নি। এ সুযোগে সংঘবদ্ধ একাধিক প্রতারক চক্র নিম্ন আয়ের মানুষদের দিয়ে ডজনে ডজন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে সাধারণ মানুষের কোটি কোটি টাকা নির্বিঘ্নে হাতিয়ে নিয়ে গেছে। প্রতারক চক্রের হাতে সর্বস্ব খুইয়ে অনেকের আত্মহননের পথ বেছে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। আর্থিক গোয়েন্দারা জানান, শুধু বেসরকারি ব্যাংকই নয়, বিভিন্ন সরকারি ব্যাংকের মাধ্যমেও এ ধরনের প্রতারণার ঘটনা ঘটছে।বিস্তারিত