এ ঘটনায় নিহত দুজন হলেন মায়া রানি (৪৫) ও শিবু রানি (৩২)। এ ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা হলেন মো. নাসির (৩৩), মো. হোসেন (৩৩), জাহিদুল ইসলাম (৪৫), ঝুমা (২০), মনি (২৫), রুবেল (২২), কালসী (৫৫) ও হৃদয় দাস (৪২)। আহত ব্যক্তিদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানায়, আজ সকাল ছয়টায় সদর উপজেলার সেহাচর লাল খাঁ এলাকায় মোক্তার হোসেনের পাঁচতলা বাড়ির নিচতলার ওই ফ্ল্যাটে বিকট শব্দে বিস্ফোরণে ঘটে। বিস্ফোরণে ওই ফ্ল্যাটসহ পাশের একটি বাড়ি ও একটি দোকানের দেয়াল ধসে পড়ে। বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলেই দেয়ালচাপা পড়ে মায়া রানির মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পর আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর শিবু রানির মৃত্যু হয়।
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত ওই ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ওই ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে দিয়ে ভবনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে নিহতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা এবং আহত ব্যক্তিদের দুই পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আরেফিন প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে ওই ফ্ল্যাটে গ্যাস জমেছিল। সকালে কেউ বৈদ্যুতিক সুইচ বা আগুন জ্বালাতে গেলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তের পর এ ঘটনার প্রকৃত কারণ বলা যাবে।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মো. রকিবুজ্জামান বরেন, ঘটনাস্থলে একজন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর একজন মারা গেছেন। গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।