চট্টগ্রামে নিরাপদ সড়কবিষয়ক এক কর্মশালায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৮২ শতাংশই হয় বেপরোয়া গতি ও অনিয়ন্ত্রিত গাড়ি চালনার কারণে। দেশে মোটরসাইকেলের ব্যবহার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে উল্লেখ করে কর্মশালায় বলা হয়, এশিয়ার দেশগুলোতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুর শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ।
দৈনিক ইত্তেফাকের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
এ দেশে প্রতি ১০ হাজার মোটরসাইকেল আরোহীর মধ্যে দুর্ঘটনায় মারা যায় ২৮ দশমিক ৪ জন। ভারত, মিয়ানমার, মালয়েশিয়ায় এই সংখ্যা যথাক্রমে ৯, ৮ দশমিক ৬ ও ৪ দশমিক ৪ জন। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে জনসচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে কর্মশালায় বলা হয়, কোথায় এবং কীভাবে সড়ক পার হতে হবে মানুষ তা জানে না।
মোটরসাইকেল
এ ছাড়া যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালনার ঝুঁকিসহ বিভিন্ন বিষয়ে অনেকের মধ্যেই স্বচ্ছ ধারণা নেই। ফুটপাতে দোকানপাটসহ নানা প্রতিবন্ধকতা থাকায় মূল সড়কে হাঁটতে গিয়ে লোকজন দুর্ঘটনার শিকার হয়। ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে পথচারীদের আগ্রহ নেই।
দুর্ঘটনার মাত্রা কমিয়ে আনতে সড়কে ব্যক্তিগত যানবাহন নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি গণপরিবহণ ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো এবং সাইকেল লেন করার আহবান জানানো হয়।
মোটরসাইকেল
যুক্তরাষ্ট্রের ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটির (বিআইজিআরএস) আওতায় এই কর্মশালা আয়োজন করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিস। কর্মশালার উদ্বোধন করেন চসিকের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মুনিরুল হুদা ও সমাপনী বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইজিআরএসের চট্টগ্রাম সার্ভিলেন্স কোঅর্ডিনেটর কাজী সাইফুন নেওয়াজ। রোড ডিজাইন বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইজিআরএসের চট্টগ্রাম ট্রান্সপোর্ট কোঅর্ডিনেটর মাহিয়াত হাসনা, নাগরিক টিভির প্রধান প্রতিবেদক শাহনাজ শারমিন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ড. ওয়াতিন আহমেদ।