প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর। গতকাল মালয়েশিয়াতেও তিনি তা বলেছেন। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। ডিসেম্বরে তফসিল ঘোষণার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তারপরও নির্বাচন ঠেকাতে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কয়েক দিন ধরে সমাবেশগুলোতে সতর্ক থাকার জন্য দলীয় কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে এনসিপি ঘোষণা দিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না। নির্বাচনের আগে সব সংস্কার সম্পন্ন করার জন্য অনেকগুলো প্ল্যাটফর্ম ইতোমধ্যে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন জরিপের নামে নতুন নতুন তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে। সব তথ্যই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার পক্ষে। যারা জরিপ পরিচালনা করছেন তারা অনেকেই পরিচিত আবার কিছু কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সংস্কারের পক্ষ নিয়ে কাজ করছে অথচ ঐকমত্য কমিশন সংস্কার বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ন্যূনতম সমঝোতায় পৌঁছেছে। ঐকমত্য কমিশনে আরও কিছু কাজ অবশিষ্ট থাকায় কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এ অবস্থায় একদিকে বিএনপিসহ অধিকাংশ দলের প্রার্থীরা নির্বাচনি মাঠে তৎপরতা শুরু করেছেন, অন্যদিকে যারা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চাচ্ছে না তারাও তাদের মতো করে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। অনেকে অভিযোগ করছেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঠেকানোর জন্য সরকারের ভিতরেও একটি অংশ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে ডাকসু, চাকসু, রাকসু নির্বাচন সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অশান্ত করে জাতীয় নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ।বিস্তারিত