অনলাইন ডেস্ক
রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনের সড়কের দুইপাশই বন্ধ করে দিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা। আজ রোববার বেলা দেড়টার দিকে সড়কের দুইপাশে আড়াআড়ি করে বাস রেখে তারা সড়ক বন্ধ করে দেন; তাতে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।
এ অবস্থায় আলোচনা করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন বনানী থানার ওসি রাসেল সারোয়ার।
তিনি বলেন, ‘ট্রাফিক পুলিশকে সহায়তাকারী তিতুমীর কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে একতা পরিবহনের চালক-শ্রমিকদের সঙ্গে ঝামেলা হয়। এরপর চালক-শ্রমিকদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতনরা বৈঠকে বসেন।’
তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে একতা পরিবহনের আরও ৭-৮ টি বাস শিক্ষার্থীরা আটকে দেয়। এর জেরে চালক-শ্রমিকরা সড়কের দুইপাশেই যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। তারা মহাখালী রেলগেইট থেকে নাবিস্কো পর্যন্ত বিভিন্নস্থানে আড়াআড়ি করে বাস রেখে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে রেখেছে।’
রাজধানীতে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফের হামলা, ভাঙচুর
ওসি রাসেল জানিয়েছেন, এ অবস্থা নিরসনে শ্রমিক নেতা ও তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ আলোচনা করছে।
ট্রাফিক গুলশান বিভাগ এক ফেসবুক পোস্টে বলেছে, ‘মহাখালী টার্মিনাল এরিয়ায় পরিবহন মালিক শ্রমিক কর্তৃপক্ষ মহাখালীর ইনকামিং/ আউট গোয়িং রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ নিয়োজিত আছে।’
এদিকে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় বনানী থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যানবাহনের আরোহীরা।
জাহাঙ্গীর আলম সাগর নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় তেজগাঁও এলাকায় আটকে ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘তারা মোটরসাইকেলও যেতে দিচ্ছে না। যারা সড়ক আটকে দিয়েছে- তারা বলেছে, তাদের নেতার গায়ে হাত দিয়েছে পুলিশ। তারা বলছে, যতোক্ষণ এর বিচার না করবে- ততক্ষণ তারা সড়ক আটকে রাখবে।’