প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও জাজেস কমপ্লেক্স এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা

প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও জাজেস কমপ্লেক্স এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা

জাতীয় ডেস্ক

রাজধানীতে প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন ও তার আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ বিচারিক এলাকাকে ঘিরে সকল ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন ও গণজমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

সোমবার (১০ নভেম্বর) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জননিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আগামীকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশনা কার্যকর থাকবে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নিষিদ্ধ এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, বিচারপতি ভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান মাজার গেট, জামে মসজিদ গেট, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ও ট্রাইব্যুনাল-২ এর প্রবেশপথ এবং বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ভবন এলাকা।

ডিএমপি জানিয়েছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৬-এর ২৯ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জনশৃঙ্খলা ও নাগরিক চলাচলের স্বাভাবিকতা বজায় রাখতে যখন-তখন সড়ক অবরোধ, যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি বা কোনো ধরনের প্রতিবাদমূলক কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বিচারিক স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে সুপ্রিম কোর্ট এলাকা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও বিচারপতিদের বাসভবন সংলগ্ন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন ও জাজেস কমপ্লেক্স এলাকাটি দীর্ঘদিন ধরেই উচ্চ আদালত ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিচারিক দপ্তরের উপস্থিতির কারণে সংবেদনশীল এলাকা হিসেবে বিবেচিত। রাজনৈতিক বা সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মাঝে মাঝে এই এলাকায় বিক্ষোভ বা মানববন্ধনের ডাক দেওয়া হলেও নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণে সাধারণত প্রশাসন এসব কার্যক্রম সীমিত রাখে।

সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রশাসন রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করেছে। ডিএমপি জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা কার্যকালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দেশনা সংশোধন বা প্রত্যাহার করা হতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে নাগরিকদের সহযোগিতা কামনা করে বলা হয়েছে, “রাজধানীতে জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকলকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হচ্ছে।”

নিষেধাজ্ঞা কতদিন কার্যকর থাকবে তা পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে ডিএমপি জানিয়েছে।

আইন আদালত