বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি মিটিং করে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে। সকল আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার অনুরোধ করা হয়েছে জেলা প্রশাসনকে।
আজ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভারপ্রাপ্ত সচিব গোলাম মোস্তফা বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক আবু সৈয়দ মোহাম্মদ হাসিম, অতিরিক্ত সচিব ফায়জুর রহমান ও অতিরিক্ত সচিব আমির হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ভারপ্রাপ্ত সচিব গোলাম মোস্তফা জানান, মন্ত্রণালয়ের সাথে জেলা-উপজেলার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষার জন্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য পর্যাপ্ত নৌযান প্রস্তত রাখতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যার মধ্যে উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসার জন্য বলা হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেত অনুযায়ী সমুদ্রে অবস্থিত সকল জাহাজ ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় লোকদের সতর্কতামূলক তথ্য প্রচার ও তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসার জন্য সিপিপির ভলান্টিয়ারদের অনুরোধ করা হয়েছে। দুর্যোগে যাতে মানুষের কোন জানমালের ক্ষতি না হয় তার জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি রাখার জন্য তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়সূত্রে আরও জানান হয়, ইতোমধ্যে প্রত্যেক জেলায় ত্রাণ তৎপরতা চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় চাল ও নগদ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। নিজের জানমাল রক্ষায় দুর্যোগ সংক্রান্ত বার্তাকে অবহেলা না করে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে আসতে উপকূলবাসীকে অনুরোধ করেন ভারপ্রাপ্ত সচিব গোলাম মোস্তফা।