সাইফ আহমাদ
অবৈধপথে আসা মোবাইল ফোন আগামী জুলাই মাস থেকে আর চালু করা যাবে না। এসব মোবাইল হ্যান্ডসেটের সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হবে। অবৈধ মুঠোফোন বন্ধের স্বয়ংক্রিয় কার্যক্রম ১ জুলাই থেকে শুরু করবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
তবে বর্তমানে যেসব অবৈধ হ্যান্ডসেটে সংযোগ চালু আছে, সেগুলো নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হবে। ৩১ মে বিটিআরসি’র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহিদুল আলম এসব তথ্য জানান।
অনিবন্ধিত ও নকল মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে দেশে এই প্রথম ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) সিস্টেম ব্যবহার করা হবে। বিটিআরসি এরই মধ্যে বৈধ ফোনগুলোর একটি ডাটাবেস প্রস্তুত করেছে। আগামী ৯ জুনের মধ্যে এনইআরআইআর-এর ইনস্টলেশন কাজ সম্পন্ন হতে পারে। তবে অবৈধ মোবাইল শনাক্তের প্রক্রিয়া জুলাই মাসের প্রথম দিন থেকে শুরু হবে।
বিটিআরসি’র মহাপরিচালক জানান, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ১৫ কোটি হ্যান্ডসেট ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে ৪০ শতাংশই অবৈধভাবে বাজারে প্রবেশ করেছে বা বিদেশ থেকে আনা হয়েছে। গ্রাহকরা যেসব অননুমোদিত হ্যান্ডসেট ব্যবহার শুরু করেছেন, জুলাইয়ের আগে তাদের এনআইআর আইপি নিবন্ধন কার্যক্রমের অনুমোদনের আওতায় আনা হবে।
বিটিআরসি ইতোমধ্যে তাদের তথ্যভান্ডারে প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি আইএমইআই সংযোজন করেছে। এতে ৭ কোটি ১৯ লাখ মুঠোফোন সেটের তথ্য রয়েছে। ১ জুলাই থেকে এনইআইআর চালু হলে গ্রাহকের হাতে থাকা মুঠোফোনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়ে যাবে। এরপরে যেসব মোবাইল দেশে নিয়ম মেনে ঢুকবে না, সেগুলো সচল হবে প্রক্রিয়া মেনে।
এনআইইআর নিবন্ধন প্রোগ্রামটি ক্লোনিং ও চুরি রোধ এবং রাজস্ব আদায়ে সহায়তা করবে বলে মনে করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহিদুল আলম। তিনি জানান, এ প্রক্রিয়াটি শুরু করার আগে আমাদের প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে, বিষয়টি সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করা। জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে সারা বাংলাদেশে প্রচারণা পরিচালনা শুরু করবো। এটি চালু হলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন মোবাইলসেট ব্যবহারকারীরা। এর ফলে মোবাইল হারালে অন্য কেউ হারিয়ে যাওয়া মোবাইলটি ব্যবহার করতে পারবে না।
যেভাবে কাজ করবে নতুন এ প্রযুক্তি
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র অনুমোদিত হ্যান্ডসেটগুলোর আইএমইআই নম্বর সংরক্ষণ করা থাকবে। সিম কার্ড হ্যান্ডসেটে প্রবেশ করানো হলে তা বিটিআরসি ডাটাবেসে সংকেত দিবে।
হ্যান্ডসেটের আইএমইআই ডাটাবেসের সঙ্গে মিলে যাওয়ার পরই সিম কার্ডটি চালু হবে। যদি সক্রিয় সিম কার্ড মোবাইলে প্রবেশের পর বিটিআরসি’র ডাটাবেসে ওই মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট না পাওয়া যায়, তাহলে ওই হ্যান্ডসেটের আইএমইআই নম্বরকে ‘সাদা তালিকা’য় ৭ দিন রেখে ব্যবহারকারীকে নিবন্ধনের সময় দেওয়া হবে।