চক্রের সদস্য সংখ্যা ১৫ থেকে ২০ জন। প্রত্যেকেই নিজেকে পরিচয় দিতো উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে। কারও সঙ্গে পরিচয়ের সময় মন্ত্রণালয়ে চাকরি করেন এমন ভিজিটিং কার্ড দিতেন। চলাফেরা করতেন দামি গাড়িতে। পরতেন বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের পোশাক। কথা বলতেন ইংরেজি-বাংলা মিলিয়ে। কারও সঙ্গে কথা বলতে চাইলে অফিসের বদলে বসতেন অভিজাত এলাকার চাইনিজ রেস্তরাঁয়। এতে করে ভুক্তভোগীরা সহজেই আকৃষ্ট হতেন।
মানুষকে আশ্বাস দিতেন অল্প টাকায় ইউরোপের দেশগুলোতে পাঠানোর। কেউ রাজি হলেই তার কাছ থেকে পাসপোর্ট ও অগ্রিম কয়েক লাখ টাকা নিয়ে যেতেন। লোভে পড়ে কাজ তাড়াতাড়ি করার জন্য অনেকে চুক্তির সকল টাকা পরিশোধ করে দিতেন। কিন্তু বাস্তবে চক্রের সদস্যরা কাউকে ইউরোপ পাঠাতে পারতেন না। চুক্তি করে টাকা নেয়ার পর কিছুদিন সময় দিতেন। এই সময়ের ভেতরে তারা আরও অনেকের কাছ থেকে টাকা নিজের হেফাজতে নিয়ে যেতো। তার কিছুদিন পর তাদের অফিস বন্ধ করে ওই এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় গিয়ে নতুন অফিস নিতো। বন্ধ করে দিতো তাদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় অফিস করে মানুষকে কথার ফাঁদে ফেলে তারা নিঃস্ব করেছে শত শত মানুষকে। যারা তাদের শেষ সম্বল চক্রের সদস্যদের হাতে তুলে স্বপ্নপূরণ করতে চেয়েছিলেন।বিস্তারিত