নিজস্ব প্রতিবেদক
চলতি মাসের মধ্যে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এই আশা প্রকাশ করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রীর আশাবাদের তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সভায় আলোচনা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিনারিওটা কী। ইউনিভার্সিটিগুলো কেন এখনো দেরি হচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের শিক্ষামন্ত্রী বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে, যেহেতু ইউনিভার্সিটিগুলো নিজস্ব সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলে, আশা প্রকাশ করছেন যে এই মাসের মধ্যে সব খুলে দেওয়া হবে।’ দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে গত বছরের মার্চে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। দেড় বছর পর ১২ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। আর শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলারও অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, একটা প্র্যাকটিক্যাল প্রবলেম হলো ম্যানেজমেন্ট। হলগুলোর অবস্থা তো খুবই খারাপ। দুই বছর যেহেতু বন্ধ ছিল। সুতরাং সে হলগুলো খুলে রেনোভেট করে ছাত্রছাত্রীদের জিনিসপত্র বা বিছানাপত্র কতটুকু ব্যবহারোপযোগী আছে, সেগুলো দেখতে হবে। অ্যাপারেন্টলি মনে হচ্ছে যে এটাই অন্যতম বড় একটা কারণ ইউনিভার্সিটিগুলো খুলতে দেরির। স্কুল-কলেজ ইতিমধ্যে খুলে দেওয়া হয়েছে এবং এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার তারিখও ঘোষণা হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়েও মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়েছে বলে জানান আনোয়ারুল ইসলাম।
খন্দকার আনোয়ার বলেন, শিক্ষামন্ত্রী এনশিওর করেছেন যে পরীক্ষা নিতে কোনো অসুবিধা হবে না, যেগুলো ডিক্লেয়ার করা হয়েছে। যদি পরিস্থিতির মারাত্মক কোনো অবনতি না হয়, এখনকার পরিস্থিতি যদি অব্যাহত বা স্থিতিশীল থাকে, ইনশা আল্লাহ যেভাবে পরীক্ষা ডিক্লেয়ার করা হয়েছে সেটা নিয়ে নেওয়া হবে।