বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়ার কারণে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ও বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের নামে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলার আবেদন জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের নামে মামলার আবেদনকারী হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সলিমুল্লাহ মুসলিম হল সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুলিয়াস সিজার তালুকদার। আর বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের নামে মামলার আবেদনকারী হলেন ঢাবির পপুলেশন সায়েন্সস বিভাগের ছাত্র নূরউদ্দীন আহমেদ।
তথ্য প্রতিমন্ত্রীর নামে করা অভিযোগে জুলিয়াস সিজার তালুকদার উল্লেখ করেন, বিবাদী সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান কর্তৃক একটি ফেসবুক পেজ থেকে গত ০৫/১২/২০২১-ইং তারিখ বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে একটি বিকৃত যৌনাচার ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ দেখতে পাই। যাতে তিনি স্পষ্ট করে উল্লেখ করেন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি)… সময়ও আমার নেই। ’
এতে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে দেশের সর্ব প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠকে তিনি উদ্দেশ্যমূলক ভাবে তাচ্ছিল্য করেছেন। ঢাবির ঐতিহ্যবাহী রোকেয়া হল এবং শামসুন্নাহার হলের নারী শিক্ষার্থীদের চরিত্র হননের অপচেষ্টা করে বলেন, ‘তারা রাতে নিজের হলে অবস্থান না করে বিভিন্ন পাঁচ তারকা হোটেলে গিয়ে রাত্রিযাপন করে। ’ এই বাক্য দ্বারা তিনি ঢাবির নারী শিক্ষার্থীদের চরিত্র হননের অপচেষ্টা করেছেন।
আমরা মনে করি যে কোন বিদ্যাপীঠই পবিত্র স্থান এবং একজন নাগরিকের চারিত্রিক বিষয়ে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে একটি সীমারেখা রক্ষা করা সবার দায়িত্ব। তাই উপরোক্ত দুই মন্তব্যের মাধ্যমে শুধু ঢাবি নয়, বরং সব বিদ্যাপীঠের প্রতি তীব্র অশ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে তিনি মধ্যযুগীয় কায়দায় ঘৃণার রাজনীতি করার অপপ্রয়াস দেখিয়েছেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, নারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারমূলক বক্তব্য দিয়ে তাদের চরিত্র হননের অপচেষ্টা করে নারীর রাজনীতি ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার বিরোধীতা প্রকাশ করেন। তার নাগরিক ও রাজনৈতিক মূল্যবোধ বিরোধী এই ন্যাক্কারজনক বক্তব্য ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে শ্লীলতাহানিসহ কুরুচিপূর্ণ ভাষায় কথা বলে এবং সামাজিক ভাবে মানক্ষুণ্ন হয়েছে।
অপরদিকে বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বিরুদ্ধে অভিযোগে নূরউদ্দীন আহমেদ উল্লেখ করেন, গত ০৬/১২/২০২১-ইং তারিখ রাত্র আনুমানিক ১২টার সময় একটি ফেসবুক লিংকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিবাদীর অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের ভিডিওতে দেখতে পাই। যা সরকার ও দেশের জনগণের জন্য হেয় প্রতিপন্ন ও মানহানিকর।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, এটি যেহেতু সাইবারের বিষয়, তাই আমরা সাইবার ইউনিটে পাঠাব। যেখানে যাছাই হয়ে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষ মামলা হিসেবে নেওয়া হবে। এখন জিডি হিসেবে নেওয়া হয়েছে।