নিজস্ব প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির খুব প্রিয় একটা তারিখ। আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি নাকি ঢাকা দখল করবে, সরকারকে উৎখাত করবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির খুব প্রিয় একটা তারিখ। আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি নাকি ঢাকা দখল করবে, সরকারকে উৎখাত করবে।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের পোলো গ্রাউন্ডে আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আমাদের মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। আত্মসমর্পণের আগে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যা শুরু করে। ১০ ডিসেম্বর ইত্তেফাকের সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হোসেনকে তুলে নিয়ে যায়। এ রকম বহু জনকে তারা তুলে নিয়ে যায়। এই ১০ ডিসেম্বর থেকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যা শুরু করেছিল। বাংলাদেশে আত্মসমর্পণ করতে হবে জেনে, এই দেশ যেন সামনে এগিয়ে চলতে না পারে সে কথা মাথায় রেখেই তারা এ ঘটনা ঘটায়।
শেখ হাসিনা বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, সেই ১০ ডিসেম্বর বিএনপির খুব প্রিয় একটা তারিখ। বোধ হয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পদলেহনের দোসর ছিল বলেই ১০ ডিসেম্বর তারা ঢাকা শহর নাকি দখল করবে। আর আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করবে। আমি তাদের বলে দিতে চাই, খালেদা জিয়া ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছিল। আর ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছিল বলেই তাকে বাংলাদেশের মানুষ মেনে নেয়নি। সারা বাংলাদেশ ফুঁসে উঠেছিল। জনতার মঞ্চ করেছিলাম আমরা। খালেদা জিয়া বাধ্য হয়েছিল পদত্যাগ করতে। দেড় মাসও যায়নি, খালেদা জিয়া পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিল। সে কথা বিএনপির মনে রাখা উচিত। জনগণের ভোট যদি কেউ চুরি করে বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নেয় না। ওরা তা ভুলে গেছে।
তিনি বলেন, ওরা ভোটে যেতে চায় না। জিয়াউর রহমান যেমন জাতির পিতাকে হত্যা করে, সংবিধান লঙ্ঘন করে, সেনা আইন লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করেছিল। ওদের ধারণা ওই ভাবেই তারা ক্ষমতায় যাবে। গণতান্ত্রিক ধারা তারা পছন্দ করে না। আজকে গণতান্ত্রিক ধারা আছে বলেই তো বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়েছে। দীর্ঘ দিন গণতান্ত্রিক আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আজকে আপনাদের কাছে এই বিজয়ের মাসে আমি উপহার নিয়ে এসেছি। কিছুক্ষণ আগে ২৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন, ৬টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছি। বিজয়ের মাসে চট্টলাবাসীর জন্য আমার উপহার।
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের ভোট কেউ চুরি করলে বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নেয় না। ওরা ভোটে যেতে চায় না। কারণ জিয়াউর রহমান জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে অবৈধ পন্থায় ক্ষমতায় এসেছিল। গণতান্ত্রিক ধারা তাদের পছন্দ না। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের উন্নতি হয়। বাংলাদেশ আজ উন্নতি হচ্ছে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকার কারণে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদার ছেলে একটা টাকা চুরি করেছিল, সিঙ্গাপুরে মারা গেছে। টাকা পাচার করেছিল, আমরা সেই টাকার কিছু ফিরিয়ে এনেছি। আরেকজন কুলাঙ্গার বানিয়ে রেখে গেছে জিয়াউর রহমান। লন্ডনে বসে আছে। সে লন্ডনে কেন আছে। ২০০৭ সালে মুচলেকা দিয়ে পালিয়েছিল। সেখানে রাজার হালে থাকে আর দেশে যত নাশকতার কাজ করে যাচ্ছে।