করোনা মহামারির পর ইউক্রেন যুদ্ধ দেশের অর্থনীতিতে নানা ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে। এসব ঝুঁকি মোকাবিলায় আর্থিক খাতের সংস্কারে কিছু উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার। এসব উদ্যোগের মধ্যে থাকছে সরকারি খরচ কমানোর পাশাপাশি সামষ্টিক অর্থনীতিকে গতিশীল করার পদক্ষেপ। এর মধ্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মধ্যমেয়াদে সতর্ক রাজস্বনীতি অনুসরণ করবে সরকার; সরকারি ও রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টি ঋণের নজরদারি বাড়ানো হবে; বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে শৃঙ্খলা আনতে ডলারের একক বিনিময় হার কার্যকর করা হবে; শিল্প খাতের উৎপাদনে গতি বাড়াতে পর্যায়ক্রমে আমদানির ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হবে; দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষকে সহায়তা দিতে সামাজিক নিরাপত্তা খাত সম্প্রসারণ কার্যক্রম চলমান থাকবে এবং উন্নয়ন প্রকল্পে বাড়ানো হবে সরকারি বিনিয়োগ।
চলমান বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি মোকাবিলা করে সামনের দিনগুলোতে অর্থনীতি কোন পথে চলবে, সে বিষয়ে একটি ধারণা দেওয়া হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতিতে। অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতার সঙ্গে এ নীতি বিবৃতিটি সরবরাহ করে অর্থ বিভাগ। ওই নীতি বিবৃতিতে মধ্যমেয়াদে এসব নীতি সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালক এম কে মুজেরি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস, ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়াসহ অর্থনীতিতে এখন নানা ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। সরকার যে নীতি গ্রহণের কথা বলেছে, সেগুলো আলাদা আলাদা বাস্তবায়ন করলে কোনো ফল পাওয়া যাবে না। সংকট মোকাবিলায় একটি সমন্বিত রূপরেখা প্রণয়ন করে একযোগে এসব নীতি বাস্তবায়ন করলে অর্থনীতিতে এর সুফল মিলতে পারে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই প্রধান অর্থনীতিবিদ। বিস্তারিত