বাসাবাড়িতে মশা-মাছি, তেলাপোকা, ছারপোকা, ইঁদুরসহ নানা পোকামাকড় নিধনে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কেউ বালাইনাশক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে, আবার কেউ দোকান বা রাস্তার পাশের হকার থেকে কীটনাশক কিনে বাসায় ব্যবহার করেন।
অথচ এসব কীটনাশক বাসাবাড়িতে ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত কি না, মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর—সেদিকে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানের নজরদারি নেই। ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের কাছেও কখনো বিষয়টি গুরুত্ব পায়নি। এতে বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
সম্প্রতি রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় একই পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যুর পর বিষয়টি সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। টনক নড়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের বালাইনাশক প্রশাসনের। তারা গণবিজ্ঞপ্তি প্রচারসহ বিভিন্ন তৎপরতা শুরু করেছে।
উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং বালাইনাশক প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিয়ে থাকে। দেশে জনস্বাস্থ্যের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত অনুমোদিত কীটনাশক আছে ৬১৩ ধরনের। আর বাসাবাড়িতে পোকামাকড় নিধন ও নিয়ন্ত্রণের কাজ করে—লাইসেন্সপ্রাপ্ত এমন প্রতিষ্ঠান আছে ১১৮টি।
২০১৮ সালের বালাইনাশক (পেস্টিসাইডস) আইনে বলা আছে, কোনো ব্যক্তি লাইসেন্স ছাড়া বালাইনাশক আমদানি, উৎপাদন, পুনরুৎপাদন, মোড়কজাতকরণ, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ করার পদ্ধতি পরিচালনা, বিজ্ঞাপন প্রচারসহ কোনো কাজই করতে পারবে না।বিস্তারিত