নিজস্ব প্রতিবেদক
শুক্রবার দিনভর প্রখর তাপমাত্রা শেষে সন্ধ্যায় রাজধানীর আকাশে মেঘ জমতে শুরু করে। এরপর বিভিন্ন স্থানেই অস্থায়ী দমকা হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়। আবাহওয়া অধিদপ্তর জানায়, কোথাও কালবৈশাখী ঝড়ের সংবাদ পাওয়া যায়নি।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, শুক্রবার ঢাকার বিভিন্নস্থানে বৃষ্টি হয়েছে।
বৃষ্টির গতিপথ ছিল টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ থেকে আসা। ফলে এটি বর্ষার বৃষ্টি না, এতে তাপমাত্রা কমবে না।
এদিকে দেশের উত্তরাঞ্চলে দাবদাহ বয়ে যাওয়া অঞ্চল বাড়ার সঙ্গে এর প্রখরতাও বাড়ছে। অন্যদিকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বিগত কয়েদিন থেকেই ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বর্তমানে দেশে দুটি মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় তাপমাত্রার এমন তারতম্য দেখা দিয়েছে। এই আবহাওয়া আরো দুদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, দেশের রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া জেলাসমুহের ওপর দিয়ে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। খুলনা বিভাগসহ রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর ও দিনাজপুর জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
শনিবারের পূর্বাভাসে বলা হয়, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের ৭৬ শতাংশ থেকে শতভাগ স্থানে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া রংপুর, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের ৭৫ শতাংশ জায়গা পর্যন্ত এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের ২৫ শতাংশ স্থান পর্যন্ত এ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন আরো বলেন, বর্তমানে দেশে দুটি সিস্টেম বহাল আছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চল দুই দিক থেকেই বাতাস প্রবেশ করছে।
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবেশের মাধ্যমে দেশে বর্ষাকাল এসেছে। তবে এখনও তা পুরপুরি সক্রিয় হতে পারেনি। দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে আসা বাতাস বঙ্গোপসাগর হয়ে দেশে প্রবেশ করায় বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ বেশি থাকে। পরে তা মেঘ সৃষ্টি করে বৃষ্টিতে রূপান্তর হয়। এসব কারণে দক্ষিণাঞ্চলে বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও টেকনাফ দিয়ে বায়ুটি ঘুরে আসায় সেখানে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি।
গতকাল শুক্রবার সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে ঢাকার নিকলীতে ১১৫ মি.মি ও সিলেটে ১০৮ মি.মি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ৪১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৫ ডিগ্রি।