২০১৮ সালে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় নয়জনের বিরুদ্ধে ডিবি পুলিশের দেয়া সম্পূরক চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেছেন আদালত।
বুধবার (৪ অক্টোবর) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী-আল-ফারাবীর আদালত এ চার্জশিট গ্রহণ করেন।
আসামি ইসতিয়াক মাহমুদ পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আগামী ৩১ অক্টোবর মামলার পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে এ চার্জশিট জমা দেওয়া হয়।
সম্পূরক চার্জশিটভুক্তরা হলেন, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের শ্যালক মোহাম্মদ ইশতিয়াক মাহমুদ, মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুল হাসান ওরফে রাসেল, ফিরোজ মাহমুদ, মীর আমজাদ হোসেন, সাজু ইসলাম, রাজীবুল ইসলাম, শহিদুল আলম খান, সিয়াম ও অলি আহমেদ।
ইশতিয়াক মাহমুদ ছাড়া অন্য আসামিরা জামিনে রয়েছেন। ইশতিয়াক মাহমুদ পলাতক আছেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।
২০১৮ সালের ১০ আগস্ট রাতে মার্সা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় ড. বদিউল আলম মজুমদার বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. আব্দুর রউফ ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর ২০২২ সালের ১ মার্চ নয় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
২০২২ সালের ২৮ মার্চ এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। গত ৪ ডিসেম্বর এ মামলায় ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। পরবর্তীতে দেখা যায়- এদের মধ্যে সাক্ষী ড. বদিউল আলম মজুমদার, খুশি বেগম ও মাহবুবুল আলম মজুমদার তাদের জবানবন্দিতে ইশতিয়াক মাহমুদের নাম উল্লেখ করেন।
পরবর্তীতে গত ২৭ ডিসেম্বর আদালত এ মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায় থেকে উত্তোলন করে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য ঢাকার সিএমএম বরাবর প্রেরণ করেন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন