বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্যের অনেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বেশির ভাগই স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চান। এসব সাবেক সংসদ সদস্যের সঙ্গে আলাদাভাবে বিএনপির অনেক কেন্দ্রীয় নেতাও প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাঁরা মনে করছেন, এবারের ভোট নিরপেক্ষ হবে। ভোটে গেলে ভালো করবেন। মেজর অব. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে না যাওয়ার কারণে নির্বাচন করতে ইচ্ছুক দলের সব প্রার্থী হতাশ হবেন না। দল ও দেশের জন্য সর্বোপরি জনগণের প্রত্যাশা পূরণের জন্য অবশ্যই আপনাদের নির্বাচনে আসতে হবে।’ জানা গেছে, পর্যায়ক্রমে নিবন্ধিত দলগুলোর অংশগ্রহণের আগ্রহ ক্রমে বাড়ছে। নির্বাচন কমিশনে লিখিতভাবে ভোটে যাওয়ার কথা জানাচ্ছে। যেসব দল ও সংগঠনের নিবন্ধন নেই তারা নিবন্ধিত দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে ভোট করার কথা নির্বাচন কমিশনে লিখিতভাবে জানাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন মনে করছে, নিবন্ধিত অধিকাংশ রাজনৈতিক দল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এসব দল নির্বাচনে অংশ নিতে জোটগত অবস্থান বা দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে চিঠি দিয়েছে। এসবের বাইরে আরও কিছু রাজনৈতিক দল শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নেবে বলেও বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছে কমিশন। ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে আগ্রহী দলের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, আওয়ামী লীগ ও জোটের শরিকসহ মোট ১৫টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আওয়ামী লীগ ছাড়া বাকি দলগুলো হলো জাতীয় পার্টি (জেপি), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), গণতন্ত্রী পার্টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)। আওয়ামী জোটের বাইরেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।বিস্তারিত