ঝুঁকিপূর্ণ ৫৯ আসনে উৎকণ্ঠা চলছে খুনোখুনি, অস্ত্রের মহড়া, শেষ নেই হুমকির

ঝুঁকিপূর্ণ ৫৯ আসনে উৎকণ্ঠা চলছে খুনোখুনি, অস্ত্রের মহড়া, শেষ নেই হুমকির

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনি অফিসে হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি চলছে পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের। একে অপরকে নানা ধরনের হুমকিও দিচ্ছেন। অনেক প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও আসছে। নির্বাচনি প্রচারণা শুরু হওয়ার পর গত কয়েক দিনের সহিংসতায় তিনজন নিহত হয়েছেন। অন্তত ৫৯টি আসন থেকে সহিংসতার তথ্য পাওয়া গেছে। ভোট গ্রহণের দিন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ এসব আসন নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। সহিংসতামুক্ত অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘন না করতে বারবার সতর্ক করাসহ বিধি লঙ্ঘনজনিত শাস্তির উদ্যোগ নেওয়া হলেও সহিংসতা থামার কোনো লক্ষণ নেই। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ভোটাররা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এবারের নির্বাচন একটু ভিন্ন রকমের। দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসেনি। তাই অনেকেই বলেছে, এবারের নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে না। তবে এরই মধ্যে নির্বাচনি সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতার খবরও পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ না হলে এ ধরনের ঘটনা ঘটত না। তবে এসব সহিংসতার ঘটনা অনাকাক্সিক্ষত। তিনি বলেন, জনগণকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিতে হবে। এবার নির্বাচন কমিশন আগের অন্য যে কোনো কমিশনের চেয়ে ভালো কাজ করছে। তবে তাদের আরও বেশি কঠোর হতে হবে। প্রার্থীদের আরও বেশি দায়িত্বশীল ও সহনশীল হতে হবে।বিস্তারিত

জাতীয় রাজনীতি শীর্ষ সংবাদ