একটি পরিবারে গাড়ি আছে ৭০০-রও বেশি। রয়েছে ৮টি বিমান। পরিবারটি যে বাড়িতে থাকেন তার মূল্য ৫ হাজার কোটি টাকা। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এই মুসলিম পরিবারের নাম আল নাহিয়ান পরিবার। তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজপরিবার। যারা মধ্যপ্রাচ্য তো বটেই, পুরো বিশ্বের প্রাণকেন্দ্র বানিয়েছে উপসাগরীয় দেশটিকে।
আল নাহিয়ান পরিবারের প্রধান শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। তিনি একই সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট এবং আবুধাবিরও শাসক। শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের রয়েছে ১৮ ভাই ও ১১ বোন। তার ৯ সন্তানের ঘরে রয়েছে ১৮ জন নাতি-নাতনি। তারা সবাই মিলে ক্বাসর আল ওয়াতান নামের এক বিশাল রাজবাড়িতে বসবাস করেন। ৩ লাখ ৮০ হাজার বর্গমিটারের এই বাড়িটির মূল্য ৪৭৮ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ হাজার ২৩৩ কোটি টাকার কাছাকাছি।
শুধু রাজকীয় বাড়িই নয়, আমিরাতের এই রাজপরিবারের গাড়ি সংগ্রহের কথা শুনলে যে কারও চোখ কপালে উঠবে। আল নাহিয়ান পরিবারের গাড়ি সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মরক্কোর ৪টি জাদুঘরে রয়েছে। কেবলমাত্র হামেদ বিন হামদান আল নাহিয়ানেরই রয়েছে ৭০০-র বেশি ব্যক্তিগত গাড়ি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এস-ইউ-ভি’র মালিকও তিনি। শেখ মনসুর বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের ফেরারি এবং মার্সিডিজ-বেঞ্জ এজি কোম্পানিতে শেয়ার রয়েছে। তার সংগ্রহে বুগাটি ভেরন, ফেরারি ৫৯৯এক্সএক্স, ম্যাকলারেন এমসি১২, মার্সিডিজ-বেঞ্জ সিএলকে জিটিআর ও একটি ল্যাম্বরগিনি রেভেনটন রয়েছে।
নাহিয়ান পরিবারের ৮টি বিমান রয়েছে। এর মধ্যে একটি এয়ারবাস এ৩২০-২০০, ৩টি বোয়িং ৭৮৭-৯। এ ছাড়া শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের নিজের সংগ্রহে একটি বোয়িং ৭৪৭ আছে। যার মূল্য ৪৭৮ মিলিয়ন ডলার এবং একটি বোয়িং ৭৮৭ আছে। যার মূল্য ১৭৬ মিলিয়ন ডলার। এসব বিমানে একাধিক কেবিন, মিটিং রুম, বিনোদন রুম, বিলাসবহুল বাথরুম, এমনকি স্পা-ও রয়েছে।
এর বাইরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০টি প্রমোদতরীর মধ্যে ৩টিরই মালিক আল নাহিয়ান পরিবার। আবুধাবির সাবেক শাসক শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের জন্য ৬০ কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মিত প্রমোদতরী আজ্জাম নির্মাণ করা হয়েছিল। ১৮০ মিটার লম্বা এই প্রমোদতরীতে ১০০ জনের বেশি মানুষ চড়তে পারে। এ ছাড়া ব্লু নামে আরও একটি প্রমোদতরীর মালিক আল নাহিয়ান পরিবার। বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম এই প্রমোদতরীর দাম ৫৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই এই পরিবারের রিয়েল এস্টেট ব্যবসা আছে। এ ছাড়া সিটি ফুটবল গ্রুপের অন্তত ৮১ শতাংশের মালিকানা এই পরিবারের। উল্লেখ্য, সিটি ফুটবল গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ম্যানচেস্টার সিটি, মুম্বাই সিটি, মেলবোর্ন সিটি এবং নিউইয়র্ক সিটি ফুটবল টিম খেলে থাকে।