আমদানীকৃত তরলায়িত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আগামী বুধবার ঢাকায় পৌঁছাচ্ছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে এলএনজি সরবরাহের জন্য সঞ্চালন লাইন স্থাপনের কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে।
গতকাল রবিবার থেকে এই সঞ্চালন লাইনের প্রি-কমিশনিং কাজ শুরু হয়েছে। আজ সোমবার ও আগামীকাল মঙ্গলবার প্রি-কমিশনিংয়ের কাজ শেষ করবে কর্তৃপক্ষ।
প্রথম দফায় ঢাকায় ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এ ছাড়া চট্টগ্রামের সাশ্রয়কৃত প্রাকৃতিক গ্যাসও ঢাকায় সরবরাহ করা হবে। এতে ঢাকায় বিরাজমান গ্যাস সংকট অনেকটা দূর হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গ্যাস ট্রান্সমিশন কম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রি-কমিশনিংয়ের কাজ শেষ হলে এলএনজি ঢাকায় সরবরাহ করা হবে। আশা করি দু-এক দিনের মধ্যে জাতীয় সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে ঢাকায় এলএনজি সরবরাহ করা যাবে।
পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে আমদানীকৃত এলএনজি সরবরাহের জন্য মহেশখালী-আনোয়ারা ও আনোয়ারা-ফৌজদারহাট এ দুই ভাগে মোট ১২১ কিলোমিটারের দুটি পাইপলাইন নির্মাণের প্রকল্প নিয়েছিল জ্বালানি বিভাগ। এর মধ্যে ৩০ সেন্টিমিটার ব্যাসের ৯১ কিলোমিটার দীর্ঘ মহেশখালী-আনোয়ারা সঞ্চালন লাইন নির্মাণের কাজ এ বছরের মাঝামাঝি শেষ হয়েছে। এ লাইনের মাধ্যমে বর্তমানে চট্টগ্রামে ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে।
অন্যদিকে ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ ৪২ সেন্টিমিটার ব্যাসের আনোয়ারা-ফৌজদারহাট সঞ্চালন লাইনটির নির্মাণকাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে। এই পাইপলাইন দিয়ে ঢাকায় সরবরাহ করা হবে আমদানি করা বাকি ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। এসব গ্যাস কক্সবাজারের মহেশখালী দ্বীপের এলএনজি টার্মিনাল থেকে সরাসরি সরবরাহ করা হবে।
কর্মকর্তারা আরো জানান, এখন দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা যাবে। পরে এলএনজি আমদানি বাড়লে সরবরাহের পরিমাণও বাড়ানো সম্ভব হবে।