সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার মনিটরিং-এর নির্দেশ ইসি’র

অপপ্রচার ও প্রপাগান্ডার মাধ্যমে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র রুখতে ২৪ ঘণ্টা ফেইসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটরিং-এর জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ আজ নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা অপপ্রচার ও প্রপাগান্ডার সঙ্গে জড়িত হবে তাদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ প্রচলিত আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা নেয়া হবে উল্লেখ করে সচিব বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে গুজব, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র ঠেকাতে কমিশন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং করতে নির্দেশ দিয়েছে। এক্ষেত্রে মোবাইল অপারেটর, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি, এনটিএমসি এবং পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট রাউন্ড দ্যা ক্লক মনিটরিং করবে। প্রয়োজনের আমাদের সঙ্গে তারা সার্বক্ষণিক এটাসড থাকবে। এতে আমরা ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনী নির্দেশনা দিতে পারবো।’
তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নজরদারিতে থাকবে। ফেইক আইডি থেকে প্রপাগান্ডা করলে তা চিহ্নিত করে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া কোনোভাবেই বন্ধ করা যাবে না বলে মত দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। যারা গুজব ছড়াবে, সহিংসতা ও অপপ্রচার ছড়াবে তাদের বিষয়ে এনটিএমসি, বিটিআরসি ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সাইবার ক্রাইম ইউনিট মনিটরিং করবে। এক্ষেত্রে ইসিকে জানিয়েই দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন ভবনসহ সর্বত্র মোবাইল যোগাযোগ নিরবিচ্ছিন্ন রাখার পাশাপাশি ইন্টারনেটের পূর্ণমাত্রার গতি বজায় রাখার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘ফেসবুকে প্রচারণার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ আচরণবিধির আওতায় নেই।’
এ সময় ইসি সচিবালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ইসি সচিব বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি), ন্যাশনাল টেলি কমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি), টেলিটক বাংলাদেশ, গ্রামীণ ফোন, বাংলালিংক, রবি ও এয়ারটেলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন।

জাতীয় শীর্ষ সংবাদ