টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে অধ্যক্ষ আটক

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির দুই স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজের একটি কক্ষে আটকিয়ে অধ্যক্ষ তাদের শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ওই দুই ছাত্রীর চিৎকার শুনে এক ছাত্রীর মা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোকজন নিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

এদিকে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কলেজ অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ওই ছাত্রীর বাড়ি মহিলা কলেজপাড়া।

জানা গেছে, আজ বৃস্পতিবার আনুমানিক দুপুর বারটার দিকে কয়েকজন শিশু মহিলা কলেজ মাঠে ব্যাড মিন্টন খেলতে যায়। কলেজের অধ্যক্ষ মাঠে থাকা কয়েকজন মেয়ে শিশুকে কলেজ দেখানোর কথা বলে ডেকে ভবনের একটি রুমে নিয়ে যান। সেখানে তাদের বিস্কুট খাইয়ে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ওই দুই ছাত্রীকে একটি কক্ষে নিয়ে সবাইকে বের করে দেন। পরে দরজা আটকিয়ে ওই দুই ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরে তাদের স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দিতে থাকেন।
এসময় তারা চিৎকার করলে এক ছাত্রীর মা এগিয়ে গিয়ে কলেজের প্রধান ফটকে তালা আটকানো দেখতে পান। পরে কলেজের অফিস করনিক ইরশাদ আলী গেটের তালা খুলে দেন। এরপর ওই ছাত্রীর মা কলেজের একটি কক্ষ থেকে লুঙ্গি পড়া খালি গায় কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদকে বের হতে দেখেন।

স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন, এর আগেও একটি মেয়েকে ডেকে নিয়ে ওই অধ্যক্ষ তার কক্ষে আটকিয়ে শ্লীলতাহানি ঘটিয়েছিল। এছাড়া ওই অধ্যক্ষ কলেজের ছাত্রীদের সাথে অহরহ এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়ে থাকলেও লোক-লজ্জার ভয়ে তারা অভিযোগ করেন না। তবে এসব কারণে অনেক অভিভাবক তাদের মেয়েদের কলেজ থেকে অন্যত্র নিয়ে গেছেন বলেও স্থানীয়রা অভিযোগে জানান।

কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. জাকির হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি ষড়যন্ত্র কি-না তা খতিয়ে দেখা হবে। প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোশারফ হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আজগর হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর সতত্য পেলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শীর্ষ সংবাদ সারাদেশ