ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির হত্যাকাণ্ডে অবৈধ অর্থ লেনদেনের যে অভিযোগ উঠেছে এবং এ ব্যাপারে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। শনিবার দুপুরে রাজধানীর সিআইডি প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি নুসরাত হত্যাকাণ্ডে অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগ সংক্রান্ত সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে এ বিষয়টি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হত্যাকাণ্ডে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে কিংবা ঘটনা ধামাচাপা দিতে কোনো অবৈধ লেনদেন হয়েছে কিনা, কিংবা কে বা কারা এসব লেনদেনের সঙ্গে জড়িত সেসব বিষয় খতিয়ে দেখতে কাজ শুরু করেছে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিট’।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জানান, ‘সংস্থার অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের সদস্যরা আগামী সপ্তাহে বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য ফেনীর সোনাগাজীতে যাবে। সেখানে সংশ্লিষ্ট অন্যসব সংস্থার সাথে সমন্বয় করে এ বিষয়ে অনুসন্ধান চালানো হবে’।
উল্লেখ্য, নুসরাত সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীর্ক্ষী ছিলেন। ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে নুসরাতের মা বাদী হয়ে গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিলো। গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম আরবি প্রথম পত্রের পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যান নুসরাত। এ সময় কৌশলে তাকে ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সেখানে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে নুসরাত মারা যান।