চিত্রনায়িকা পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার অভিযুক্ত আসামি শিল্পপতি ও ঢাকা বোট ক্লাবের এন্টারটেইনমেন্ট অ্যান্ড কালচারাল মেম্বার নাসির উদ্দিন মাহমুদ তিন নারী সঙ্গীসহ অমির বাসায় লুকিয়ে ছিলেন।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডের ১৩ নম্বর বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গ্রেফতার বাকি চারজন হলেন অমি, অমির গার্লফ্রেন্ড স্নিগ্ধা, নাসিরের সঙ্গী লিপি ও সুমি।
গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি-উত্তর) যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, ‘এটা পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার অমির বাসা। পরীমনির সংবাদ সম্মেলনের পর থেকে তিনজন নারী সঙ্গী নিয়ে এই বাসায় নাসির লুকিয়ে ছিলেন। মাদক রাখার অভিযোগে সেই তিনজনকেও গ্রেফতার করেছি।’
তিনি বলেন, ‘পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনা নিয়ে রবিবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনের পরপরই আমরা অভিযানের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। তবে রাতে মামলা না হওয়ার কারণে গোয়েন্দা পুলিশ অ্যাকশনে যায়নি। সাভার থানায় দায়ের করা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর আমরা অভিযুক্তদের গ্রেফতার করি।’
অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন মাহমুদ প্রসঙ্গে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, নাসিরের বিরুদ্ধে আগেও মাদক ও নারী নির্যাতনের মামলা হয়েছে। নানা অভিযোগে তাকে উত্তরা ক্লাব থেকে বহিষ্কারও করা হয় বলে তথ্য রয়েছে। তার বিরুদ্ধে কেউ যদি অভিযোগ করে, তবে আমরা সেগুলোও তদন্ত করব।