মৌসুমী বায়ু তথা বর্ষা সক্রিয় হয়েছে দেশের উপর। নেমে এসেছে ঋতু বর্ষাও।
দুইয়ে মিলে যখন একাকার, তখন বৃষ্টি বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আষাঢ় মাসের প্রথম দিন (মঙ্গলবার) সারাদেশেই কম-বেশি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। রাজধানীতেও চলছে রোদ-বৃষ্টির খেলা। আষাঢ়ে টানা বৃষ্টির যে ধরন, তা বোঝা যাবে আগামী কয়েকদিনে। এছাড়া দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কোথাও কোথাও প্রথম দিনেই রয়েছে অতিভারী বর্ষণের আভাস।
আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান খান জানিয়েছেন, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে উত্তরপশ্চিম ঝাড়খণ্ড ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ বিস্তৃত রয়েছে উত্তর প্রদেশ, বিহার, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত। এছাড়া মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় বিরাজমান রয়েছে।
এ অবস্থায় বুধবার (১৬ জুন) সকাল নাগাদ ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘন্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কিমি।
শুক্রবার নাগাদ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। মঙ্গলবার (১৫ জুন) দুপুর নাগাদ ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৫ মিলিমিটার। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে ভোলায়, ৪০ মিলিমিটারের মতো।
এদিকে সাগরে লঘুচাপ ও মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সমুদ্রবন্দরে ঝড়ো হাওয়া যাওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে রাজশাহী, রংপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ফরিদপুর, যশাের, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নােয়াখালী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়াে হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।