নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত শতাধিক দল আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দাবি করছে। শুধু একটি দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চায়-প্রধান উপদেষ্টার এমন বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক নেতারা। একজন নোবেল লরিয়েট দেশের বাইরে গিয়ে বিদেশি গণমাধ্যমে কীভাবে এ ধরনের বক্তব্য দিলেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কঠোর সমালোচনা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার এ বক্তব্যকে অনেকে নির্বাচনের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্র বলেও মনে করছেন।
প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ছাড়াও বেশির ভাগ দলই ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের পক্ষে অনড়। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত সব দল ছাড়াও অনিবন্ধিত দলগুলোও চাচ্ছে ডিসেম্বর কিংবা সম্ভব হলে তারও আগে নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করুক। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৫০টি রাজনৈতিক দল রয়েছে। এর মধ্যে স্থগিত রয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন। বাকি ৪৯ দলের প্রায় সবকটিই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দাবি করছে। এ ছাড়া আরও শতাধিক অনিবন্ধিত দলের অধিকাংশই চায় ডিসেম্বর কিংবা তারও আগে সংসদ নির্বাচন। এ ব্যাপারে তাদের সবার অবস্থানই পরিষ্কার।
জানা গেছে, বেশির ভাগ দলের নেতারা মনে করেন, দেশের মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র অপহৃত। এ ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। একটি নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমেই দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন সম্ভব। বিশেষ করে স্থবির হয়ে পড়া ব্যবসাবাণিজ্য ও বিনিয়োগ পরিস্থিতি সচল করতে জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক তথা নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই। তাঁদের মতে সবাই তো একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে এতদিন আন্দোলন করেছে। দেশের সর্বত্র বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। সরকার এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। ফলে যত দ্রুত সম্ভব একটি নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা এ সরকারের দায়িত্ব।বিস্তারিত