তীব্র জ্বর, শরীর ব্যথায় ভুগছিলেন রাজধানীর বনশ্রীর বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন। টেস্ট করালে জানতে পারেন তিনি ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত। সাজ্জাদ বলেন, ‘আমার ছেলে এবং স্ত্রী প্রথম জ্বরে আক্রান্ত হয়। ডেঙ্গু টেস্ট করালে দুজনের নেগেটিভ আসে। চার-পাঁচ দিন পর ওরা কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে আমার শরীর কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। টেস্ট করালে ডেঙ্গু পজিটিভ আসে। চিকিৎসকের পরামর্শে বাসাতেই আছি। ওষুধ, স্যালাইন চলছে।’
সারা দেশে ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি, কাশিতে ভুগছে মানুষ। টেস্ট করালে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া নয়তো করোনা শনাক্ত হচ্ছে। বর্ষা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীসহ সারা দেশে ভাইরাসজনিত জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। বিশেষ করে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া এবং কভিড-১৯ এর নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জুন থেকে অক্টোবর সময়কালকে ভাইরাস জ্বরের জন্য সবচেয়ে সংবেদনশীল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতাল ও বহির্বিভাগে ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দ্রুতগতিতে বাড়ছে। ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ঈশিতা বিশ্বাস বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ডেঙ্গুজ্বর, চিকুনগুনিয়া, কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিনই জ্বর, শরীর ব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা, কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়ার মতো উপসর্গ নিয়ে রোগী আসছে। এই তিন রোগের উপসর্গ খুব কাছাকাছি। কভিড-১৯ এবং চিকুনগুনিয়াতে আক্রান্ত রোগীদের শারীরিক অবস্থা খুব বেশি জটিল না হলেও ডেঙ্গু আক্রান্ত জটিল রোগী পাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এসব রোগ প্রতিরোধে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। বাসার চারপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে, পানি জমতে দেওয়া যাবে না। মশার কামড় থেকে বাঁচতে মশারি, স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। জ্বর কিংবা অন্য উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। খুব সহজেই টেস্ট করে এই রোগগুলো শনাক্ত করা সম্ভব। দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসা নিলে জটিলতা এবং ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।’বিস্তারিত