বিশ্বে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫ কোটি ৪৮ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের সবশেষ তথ্য বলছে, আজ সোমবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা নাগাদ বিশ্বে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫ কোটি ৪৮ লাখ ১০ হাজার ৩১৬।
ওয়ার্ল্ডোমিটার শুরু থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের করোনাবিষয়ক হালনাগাদ তথ্য দিয়ে আসছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, একই সময় নাগাদ বিশ্বে করোনায় মোট মারা গেছে ১৩ লাখ ২৪ হাজার ৩২০ জন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা ৩ কোটি ৮১ লাখ ৩৬ হাজার ৮৬।
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ১৩ লাখ ৬৬ হাজার ৩৭৯। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ২ লাখ ৫১ হাজার ৮৩২ জন।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮৮ লাখ ৪৫ হাজার ৬১৭। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৩০ হাজার ১০৯ জন।
ব্রাজিল আছে তৃতীয় অবস্থানে। ব্রাজিলে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫৮ লাখ ৬৩ হাজার ৯৩। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮১১ জন।
তালিকায় ফ্রান্সের অবস্থান চতুর্থ। রাশিয়া পঞ্চম। স্পেন ষষ্ঠ। যুক্তরাজ্য সপ্তম।
আর্জেন্টিনা অষ্টম। কলম্বিয়া নবম। ইতালি দশম। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৪তম।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি।
চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।
করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে।
১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগের নামকরণ করে ‘কোভিড-১৯ ’।
১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোববারের তথ্যমতে, দেশে মোট নিশ্চিত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ ৩২ হাজার ৩৩৩। দেশে করোনায় মোট ৬ হাজার ১৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে এখন পর্যন্ত সংক্রমণ বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এশিয়ার ৪৯টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে কোভিড-১৯ শনাক্ত রোগীর দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান এখন পঞ্চম। আর চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় নিলে এশিয়ায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম কোভিড-১৯ শনাক্তের তথ্য নিশ্চিত করে সরকার। শুরুর দিকে পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণ শনাক্তের হার কম ছিল। ক্রমে সেটা বাড়তে থাকে। মে মাসের শেষ সপ্তাহে দৈনিক সংক্রমণ শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে চলে যায়।
গত ২১ আগস্ট থেকে দৈনিক করোনা রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের নিচে থাকছে।
বেশ কিছুদিন ধরে সরকার বলে আসছে, আসন্ন শীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার আশঙ্কা আছে। শীতের আগমনী বার্তার সঙ্গে সঙ্গে সংক্রমণ বৃদ্ধির ইঙ্গিতও দেখা যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহের শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তির দিকে।