অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পাশাপাশি হালাল খাদ্য ও পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটিয়ে বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, হালাল শিল্প বিশ্বব্যাপী একটি উদীয়মান শিল্পখাত। নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায় জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্বব্যাপী হালাল খাদ্য ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ হালাল খাদ্য ও পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটিয়ে বিশ্ববাজারে রপ্তানি বাড়াতে পারে।
শিল্পমন্ত্রী ১৮ জুন ঢাকায় ‘বাংলাদেশ হালাল এক্সপো-২০১৭’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের সাবেক পরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, হালাল শিল্প এখন বিশ্ব ইসলামিক অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গে পরিণত হয়েছে। ২০১৪ সালে বিশ্বে হালাল শিল্পের পরিমাণ ছিল ৭শ’ ৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে প্রতিবছর হালাল খাদ্য ও পণ্যের চাহিদা ১০.৮ শতাংশ হারে বাড়ছে। ২০১৯ সাল নাগাদ বিশ্বে হালাল শিল্পের পরিমাণ ৩.৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে। হালাল খাদ্যের মত বিশ্বে হালাল পর্যটন শিল্পখাতও দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্ব পর্যটন শিল্পখাতের শতকরা ১১.৬ ভাগ হালাল পর্যটন শিল্পের আওতাভূক্ত। ২০১৯ সাল নাগাদ এ শিল্প ২শ’ ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীতে হালাল সনদপ্রাপ্ত ১৬টি খাদ্য ও পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।