প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাবিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ৬ হাজার ৮৩৪ জন। এছাড়া নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ৭ হাজার ২৫২ জন।
সোমবার (১৪ জুন) সকাল সাড়ে আটটায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিশ্বে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র এখনো সবার ওপরে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে তিন কোটি ৪৩ লাখ ৩৫ হাজার ২৩৯ জনের। এর মধ্যে মারা গেছেন ছয় লাখ ১৫ হাজার ২৩২ জন। আর সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ৮৪ লাখ ৩৬ হাজার ৯৮১ জন।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত দুই কোটি ৯৫ লাখ ৭০ হাজার ৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন তিন লাখ ৭৭ হাজার ৬১ জন। আর সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ৮২ লাখ ৭২ হাজার ৭৮০ জন।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৪ লাখ ৫৪ হাজার ৮৬১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে চার লাখ ৮৮ হাজার ৪০৪ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন এক কোটি ৫৮ লাখ ৫৪ হাজার ২৬৪ জন।
সংক্রমণ ও মৃত্যুর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৩২তম। দেশে এখন পর্যন্ত আট লাখ ২৯ হাজার ৯৯৭২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।এর মধ্যে মারা গেছেন ১৩ হাজার ১৭২ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন সাত লাখ ৬৮ হাজার ৮৩০ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
করোনা প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এরপর ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। ওই বছরেরই ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
করোনা সংক্রমণের শুরুর দিকে ইউরোপ এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক প্রাণহানি হলেও বর্তমানে সেসব দেশে মহামারি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশে করোনায় ব্যাপক প্রাণহানি অব্যাহত রয়েছে।