অস্বস্তিতে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা

অস্বস্তিতে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা

বেশ কিছুদিন যাবৎ দেশের পুঁজিবাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। প্রায় দেড় মাস যাবৎ কখনও কখনও সূচক উর্ধ্বমুখী হলেও দিনের বেশিরভাগ সময়ই তা নিম্নমুখী দেখা যায়।

চলতি সপ্তাহের গত দুই দিনের চেয়ে আজ আরও বড় দরপতনের মধ্য দিয়ে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (১২ অক্টোবর) দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন প্রথম দুই ঘণ্টা সূচকের ওঠানামার মধ্য দিয়ে লেনদেন হলেও শেষ আড়াই ঘণ্টায় সূচক বড় ধরনের দরপতন দেখা যায়।

আর তাতেই দিন শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ৬৫ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক কমেছে ১৭৭ পয়েন্ট। এর ফলে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার সূচক উত্থানের পর সোম, মঙ্গল এবং বুধবার টানা তিনদিন পুঁজিবাজারে দরপতন হলো।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, আজ ডিএসইতে ৩৭৬টি কোম্পানির ৪২ কোটি ৫৬ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮০টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। এর মধ্যে ১০৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২৪১টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির।

বুধবার ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ফরচুন সুজের শেয়ারের। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে লাফার্জহোলসিম লিমিটেড। তৃতীয় স্থানে ছিল আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে ছিল ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো লিমিটেড, ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্স, পাওয়ার গ্রিড, ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্স, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, জেনেক্সইনফোসেস, সোনালী পেপার এবং সাইফ পাওয়ার লিমিটেডের শেয়ার।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৭৭ পয়েন্ট কমে ২১ হাজার ১৮৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩১৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৯টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২০৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ৬১ কোটি ৫০ লাখ ৫৪ হাজার ৯৮৮ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৫ কোটি টাকা।

অর্থ বাণিজ্য