সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের দেওয়া বক্তব্য তার ব্যক্তিগত মন্তব্য, এটা দল বা সরকারের নয় বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ডা. মুরাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলেও জানান তিনি।
সোমবার সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ঢাকা দুই সিটির মেয়র ও কাউন্সিলের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ‘নারী বিদ্বেষমূলক’ যে বক্তব্য দিয়েছেন, এতে দল বা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে কি না— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের দেওয়া বক্তব্য তার ব্যক্তিগত মন্তব্য। এটা দল বা সরকারের নয়। এ ধরনের বক্তব্য তিনি কেন দিলেন, বিষয়টা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’
ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। তারা ক্ষমতা দখলের দিবাস্বপ্ন দেখছে। তারা হতাশা থেকেই আবোলতাবোল বক্তব্য দিচ্ছেন।
সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপি ক্রমাগত মনগড়া বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে যা তাদের দলের কাছেই নেতাদের একদিন জবাবদিহি করতে হবে।
খালেদা জিয়া না থাকলে আওয়ামী লীগ থাকবে না, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যে জনগণের মধ্যে হাস্যরসে পরিণত হয়েছে বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ঠিকই থাকবে তবে বেগম জিয়া না থাকলে বিএনপি থাকবে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।
মতবিনিময় সভা উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ, বিএম মোজাম্মেল হক,মির্জা আজম,এসএম কামাল, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতারাসহ ঢাকার প্রতিটি ওয়ার্ড কাউন্সিলর।
গত ৪ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক সাক্ষাৎকারে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও নাতনি জাইমা রহমান সম্পর্কে ‘বিদ্বেষমূলক’ মন্তব্য করেন। এরপর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।