দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে রেকর্ড মূল্যস্ফীতি পার করছে বাংলাদেশ। দৈনন্দিন ব্যয় মেটাতেই হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাংকে থাকা সঞ্চয়ও ভেঙে ফেলতে হচ্ছে। এর বিরূপ প্রভাব দেখা যাচ্ছে ব্যাংক আমানতে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, দেশের ব্যাংক খাতে শ্লথ হয়ে এসেছে আমানতের প্রবৃদ্ধি। বিশেষ করে শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামে ব্যাংকের আমানত কমছে সবচেয়ে বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, দেশের ব্যাংক খাতে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট আমানত ছিল ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৩ লাখ ৪১ হাজার ৬৬৭ কোটি টাকা ছিল গ্রামীণ আমানত, কিন্তু ডিসেম্বরে এসে এর পরিমাণ ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। অর্থাৎ মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে ব্যাংকগুলোর গ্রামীণ আমানত কমে গেছে ৪ হাজার ২৯৪ কোটি টাকা। গতকাল প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শিডিউলড ব্যাংকস স্ট্যাটিসটিকসে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, পরিস্থিতি খারাপ না হলে দেশের ব্যাংক খাতে আমানত সবসময়ই প্রবৃদ্ধির ধারায় থাকে। আবার অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ালেও ব্যাংকগুলোর আমানতের প্রবৃদ্ধি বাড়তে থাকে। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন। গ্রামে ব্যাংকের আমানত না বেড়ে উল্টো কমে যাওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন।
গ্রামাঞ্চল থেকে ব্যাংকের আমানত সংগ্রহের প্রধান উত্স হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এজেন্ট ব্যাংকিং। বিশেষ ধরনের এ সেবা চালুর পর থেকেই প্রবৃদ্ধির ধারায় ছিল গ্রামীণ আমানত। কিন্তু গত বছরের শেষ তিন মাসে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আমানত স্থিতি ৫০৫ কোটি টাকা কমে গেছে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এজেন্টদের মাধ্যমে ৩০ হাজার ৬৬৩ কোটি টাকা ব্যাংকের আমানত সংগ্রহ হয়। ডিসেম্বর শেষে সেটি ৩০ হাজার ১৫৭ কোটি টাকায় নেমে আসে। এজেন্ট ব্যাংকিং আমানতের ৭৯ শতাংশই গ্রামাঞ্চলের।বিস্তারিত