তথ্য গোপন করে চড়া দামে বিক্রি করছে ডলার

তথ্য গোপন করে চড়া দামে বিক্রি করছে ডলার

ঘোষণার চেয়ে বেশি দামে কিনছে ডলার। তথ্য গোপন করে সেই ডলার আরও চড়া দামে বিক্রি করছে। নির্দেশনা অমান্য করে আগ্রাসিভাবে ডলার কেনাবেচার কারণে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে। এমন অভিযোগ উঠেছে বেসরকারি খাতের ১০টি ব্যাংকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি তদন্তে মাঠে নামছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রোববার (২ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযুক্ত ১০ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে ডেকে সতর্ক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ডলার বেচাকেনায় যেসব ব্যাংক কারসাজি করেছে তাদের বিরুদ্ধে পরিদর্শন করা হবে। তাদের ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেব।
তিনি জানান, রেমিট্যান্স কেনার জন্য বাফেদা (বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন) একটি রেট নির্ধারণ করে দিচ্ছে। আমরা বলেছি সবাই যেন এটা পালন করে। এখন কেউ যদি এটা না মেনে বাজারে শৃঙ্খলা নষ্ট করে, সেটার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেলে আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব।
জানা যায়, ডলার বেচাকেনায় কারসাজির সঙ্গে জড়িত ১০ ব্যাংকের মধ্যে প্রচলিত ধারার ৭টি ও ইসলামি ধারার ৩টি ব্যাংক রয়েছে। ইতোমধ্যে এসব ব্যাংকের এমডিকে জরুরি ভিত্তিতে ডেকে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া বাড়তি দরে ডলার বেচাকেনার কারণ জানাতে চাওয়া হয়। ভবিষ্যতে এর পুনরাবৃত্তি হলে ব্যক্তিগতভাবে জরিমানা করার হুশিয়ারি দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে এমডি ছাড়াও ডলার বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত ট্রেজারিপ্রধান বা অন্য কোনো কর্মকর্তাকেও জরিমানা করা হবে।বিস্তারিত
অর্থ বাণিজ্য