গাজীপুরের বরখাস্তকৃত সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বেপরোয়া আচরণ ও বিতর্কমূলক কর্মকা- যেন থামছেই না। দল থেকে প্রথমে স্থায়ী বহিষ্কারের পর এবার দীর্ঘদিনের জীবনসঙ্গী স্ত্রীও তাকে তালাক দিয়েছেন। মারধর ও অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তাকে তালাক দেওয়ার কথা বলেন স্ত্রী। এখন স্থানীয় নেতাকর্মীরাও তার কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। শুধু বেপরোয়া আচরণ ও কর্মকাণ্ডই নয়, তার অনিয়ম ও দুর্নীতির ফিরিস্তিও যেন শেষ হওয়ার নয়। দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতিমধ্যে অভিযোগ-সংক্রান্ত বেশ কিছু নথিপত্র সংগ্রহ করেছে সংস্থাটি। অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানাতে আগামী ২১ ও ২২ মে দুদকে হাজির হতে তাকে তলব করা হয়েছে। দুদকসহ গাজীপুর-সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
যে কারণে তলব করেছে দুদক : দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন বুধবার বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়ে ২০২০ সালের একটি অভিযোগ ও ২০২২ সালের আরেকটি অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এরই মধ্যে অনেকের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। অনেক কাগজপত্রও সংগ্রহ করা হয়েছে। অনুসন্ধানের শেষ পর্যায়ে এসে তার (জাহাঙ্গীর আলম) বক্তব্য প্রয়োজন। এ কারণে তাকে তলব করা হয়েছে। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই।
তলবি নোটিসে যা বলা হয়েছে : দুদক সূত্রে জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলমকে দেওয়া নোটিসে বলা হয়েছেÑতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে অনুসন্ধান কার্যক্রম নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ কারণে নিয়মিত অনুসন্ধান কার্যের অংশ হিসেবে আগাবিস্তারিতমী ২১ ও ২২ মে সকাল ১০টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়।বিস্তারিত