বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় ফের শীর্ষ অবস্থানে উঠে এসেছে ঢাকা। ১৫৪ স্কোর নিয়ে আজ রাজধানীর অবস্থান শীর্ষ দুইয়ে। বায়ুর এই মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) সকাল ৯টায় আবহাওয়ার মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক এই তথ্য জানিয়েছে।
আইকিউএয়ার এর তথ্য অনুযায়ী, দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে চিলির সান্তিয়াগো। শহরটির স্কোর ১৫৭। পাশাপাশি দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ঢাকার পর ১৫১ স্কোর নিয়ে শীর্ষ তিনে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। এছাড়া শীর্ষ চার ও পাঁচ নম্বরে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ এবং ভারতের দিল্লি। শহরদুটির স্কোর যথাক্রমে ১৩৮ ও ১৩৩।
এদিকে, দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শীর্ষ ছয় নম্বরে ১৩০ স্কোর নিয়ে অবস্থান করছে নেপালের কাঠমান্ডু। পাশাপাশি সাত নম্বরে ১২৪ স্কোর নিয়ে চীনের বেইজিং, আট নম্বরে ১২০ স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর, নয় নম্বরে ১১৬ স্কোর নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা এবং শীর্ষ ১০ এ ১১২ স্কোর নিয়ে আছে কাতারের দোহা।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়। সেই সঙ্গে তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়। বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
রাজধানী ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের কবলে। এখানকার বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা ভালো থাকে।
২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণাধীন ধুলো। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ পরিমাণে বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।