প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসছেন সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী ড. তওফিক বিন ফাওজান আর-রাবিয়াহ। বিশেষ বিমানে ৬১ সদস্যের প্রতিনিধিদল নিয়ে মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) রাত ১০টায় হজরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার অবতরণের কথা রয়েছে।
দুই দিনের এই সফরে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সৌদি হজমন্ত্রীর কাছে তিনটি দাবি জানানো হবে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
দাবিগুলো হলো— এক. হজের সময় মিনা-মুজদালিফায় বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা। দুই. সুশৃঙ্খল লাগেজ ব্যবস্থাপনা এবং তিন. মুজদালিফা থেকে আসার পর বয়স্ক হাজিদের বিশ্রাম নেওয়ার পর শয়তানকে পাথর মারার সুযোগ দেওয়া। এ ছাড়া হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের সার্বিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২২ হাজারের কিছু বেশি মানুষ হজ পালন করেন। হজ ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের সমস্যা না হলেও মিনা-মুজদালিফায় হাজিদের তাঁবুতে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহের ঘাটতি ছিল। বাংলাদেশি হাজিদের অনেক টয়লেটে পানি ছিল না। বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে ভোগান্তিতে পড়েন হাজিরা। এ ছাড়া এবার হাজিদের ৬৫টি লাগেজ (ট্রলি) পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়কে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে। এ ছাড়া মুজদালিফা থেকে মিনায় আসার পর হাজিদের জামারায় (শয়তানকে পাথর মারার স্থান) পাঠানো হয়। সৌদি পুলিশ হাজিদের তাঁবু আটকে রাখে। শয়তানকে পাথর মারার আগে কাউকে তাঁবুতে প্রবেশ করতে দেয় না সৌদি কর্তৃপক্ষ। এতে ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রি রোদে কয়েক কিলোমিটার হাঁটার পর বয়স্ক হাজিরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। কেউ কেউ মারাও যান। তাই বয়স্ক হাজিদের মুজদালিফা হতে মিনায় আসার পর তাঁবুতে বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হলে পরে তারা বিকেলে পাথর মারতে পারবেন। এতে বয়স্ক হাজিরা অসুস্থ হবেন না। এ বিষয়গুলো সৌদি হজমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরে সমাধান চাওয়া হবে।
উল্লেখ্য, সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আল-রাবিয়াহ গড সার্ভিস প্রোগ্রাম কমিটিরও চেয়ারম্যান। ২০২১ সালের অক্টোবরে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-রাবিয়াহকে দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রীর দায়িত্ব দেন। বর্তমান দায়িত্বের আগে আল-রাবিয়াহ সৌদির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন।