অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতিতে আওয়ামী লীগের সবাই আতঙ্কে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ওদের যারা দুর্নীতি করেছে, যারা অন্যায় করেছে, যারা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড করেছে, যারা বিচারক হয়ে দলীয়ভাবে বিচার করছে, যে ব্যবসায়ী চুরি করছে, দুর্নীতি করছে সবাই আতঙ্কিত হয়ে গেছে। সব চেয়ে বেশি আতঙ্কের ছাপ আমরা দেখছি আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার মুখে।’
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষক কর্মচারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কেউ নাকি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলেনি। এটা বলতে হবে কেন? সবার ভূমিকা দেখে বোঝেন না। কি বলছে সবাই। আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’
ফখরুল বলেন, ‘অনেক অন্যায় করেছেন। অনেক হত্যা, নির্যাতন চালিয়েছেন। দেশের অর্থনীতিকে ফোকলা বানিয়ে ফেলেছেন। কেড়ে নিয়েছেন মানুষের সব অধিকার। তাই দেশ রক্ষায় এ সরকারকে সরাতে হবে। সরকারকে সরাতে যা যা করার সবই করতে হবে। বিদায় হতেই হবে।’
তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা পর্যন্ত করতে দিচ্ছে না। গণমাধ্যমকে তাদের কথা অনুযায়ী চলতে হয়। অদৃশ্য শক্তি সরকারকে টিকিয়ে রাখতে পারবে না।’
খালেদা জিয়ার বয়স নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘একজন প্রধানমন্ত্রীর ভাষা এত নিকৃষ্ট হতে পারে? একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অযাচিত মন্তব্য করতে আপনার মুখে বাঁধে না? আসলে এ দলের মধ্যে কোনো শিষ্টাচার নেই। এরা কাউকে সম্মান দিতে জানে না।’
শিক্ষাব্যবস্থার খারাপ অবস্থার কথা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘শিক্ষাকে বাঁচাতে সরকারের পরিবর্তন করতে হবে। টাকা ও দলীয় বিবেচনা ছাড়া শিক্ষক নিয়োগ হয় না। এ খাতকে পঙ্গু করে দেশকে নতজানু করে রাখতে চায়। পাঠ্যক্রমে শিক্ষা নেই।’
শিক্ষামন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘তার লোকজন নানা অপকর্মে জড়িত। তার অনুসারীরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লুট করছে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে সারাদেশে আওয়াজ উঠেছে, এ সরকারকে বিদায় করো। তাদের রাজনৈতিক সময় শেষ হয়ে গেছে। এখনো সময় আছে মানে মানে কেটে পড়ো। মানুষ ও দেশকে রেহাই দাও।’
শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, ভাইস-চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ প্রমুখ।