যোগাযোগের ক্ষেত্রে সুবিধাজনক ভৌগোলিক অবস্থানসহ নানা কারণে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণেও দেশটি প্রভাবশালীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এসব নানা কারণে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের সময় এলে বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলো সতর্ক দৃষ্টি রাখে। শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকটি দেশ প্রকাশ্যে ও গোপনে তৎপরতা চালায়, কূটনৈতিক সীমা লঙ্ঘন করে নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করে। নির্বাচন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হওয়ার পরও কেন বিদেশিরা বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে নাক গলায়— এ নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। যারা যখন বিরোধী দলে থাকে তারা সরকার হটানোর আন্দোলনের পাশাপাশি বিদেশিদের সহযোগিতা চায়। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় যেসব পরিবর্তন এসেছে, সেখানে বিদেশিদের তৎপরতা খুব বেশি কাজে এসেছে— এমন নজির দেখছেন না বিশ্লেষকরা। তারা মনে করেন, বিদেশিরাও কূটনৈতিক ভাষায় বলেন— তারা জনগণের সঙ্গে রয়েছেন, জনগণের মতামতই তাদের মত। ঠিক বাস্তবতাও হচ্ছে— দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় সব পরিবর্তনই হয়েছে জনগণের তীব্র আকাঙ্ক্ষা ও জনতার স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনে।
গত শুক্রবার ‘টু প্লাস টু’ বৈঠকে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রতিরক্ষা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নেন। ওই চার মন্ত্রীর বৈঠকের পর ভারতের বিদেশ সচিব ভিনয় কোয়াত্রা বলেছেন, ওই বৈঠকে বাংলাদেশ নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ওই বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন ও নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তর আলোচনা হলেও দুটি দেশের কোনো দেশের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছুই জানানো হয়নি। তবে ভিনয় কোয়াত্রা তার দেশের যে অবস্থানের কথা জানিয়েছেন তা হচ্ছে— ‘বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই স্পষ্ট করে তুলে ধরেছি। বাংলাদেশের নির্বাচন সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং সে দেশের মানুষই তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’ বিস্তারিত