গুলশানের বাড়ি: ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা, নেই সালাম মুর্শেদীর নাম

গুলশানের বাড়ি: ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা, নেই সালাম মুর্শেদীর নাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

 

রাজধানীর গুলশানে খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদীর সেই বাড়ি নিয়ে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক দুই চেয়ারম্যানসহ ১১ জনকে আসামি করা হলেও নাম নেই সালাম মুর্শেদীর।

দুদকের সূত্র বলেছে, গতকাল মঙ্গলবার দুদকের উপপরিচালক মো. ইয়াছির আরাফাত বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১-এ
মামলাটি করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

তবে বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এই মামলার বিষয়ে প্রশ্ন করলে দুদকের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, তিনি এ ব্যাপারে অবগত নন।
মামলায় আসামি করা হয়েছে রাজউকের সাবেক দুই চেয়ারম্যান হুমায়ুন খাদেম ও প্রকৌশলী এম আজিজুল হক, মীর মোহাম্মদ হাসান, মীর মো. নুরুল আফছার, রাজউকের সাবেক নিম্নমান সহকারী-কাম-মুদ্রাক্ষরিক বর্তমানে সহকারী পরিচালক (নিরীক্ষা ও বাজেট) শাহ মো. সদরুল আলম, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক-৫ মো. হাবিব উল্লাহ, সাবেক উপপরিচালক (এস্টেট) মো. আজহারুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক (এস্টেট) আবদুর রহমান ভূঁঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট) লে. কর্নেল (অব.) এম নুরুল হক, সাবেক সহকারী সচিব আবদুস সোবহান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক শাখা সহকারী মো. মাহবুবুল হককে।

দুদকের একটি সূত্র জানায়, গুলশান-২-এর ১০৪ নম্বর সড়কের ২৭/বি নম্বর বাড়িটি নিয়ে গত ২ জানুয়ারি দুদকের উপপরিচালক ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বাধীন অনুসন্ধান দল কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেয়।

সূত্র বলেছে, নথি জালিয়াতির মাধ্যমে সালাম মুর্শেদীকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মালিকানাধীন গুলশানের ওই বাড়ি বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে ২০২২ সালের ১১ আগস্ট দুদকে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। দুদক আবেদন আমলে না নেওয়ায় একই বছরের ৩০ অক্টোবর তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। রিট আবেদনে বলা হয়, ওই বাড়ি ১৯৮৬ সালের অতিরিক্ত গেজেটে ‘খ’ তালিকায় পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত। রিটে ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল, ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি এবং ২০২২ সালের ৪ জুলাই রাজউকের চেয়ারম্যানকে দেওয়া গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তিনটি চিঠি যুক্ত করা হয়।

প্রথম দুটি চিঠিতে মন্ত্রণালয় পরিত্যক্ত বাড়ির তালিকা থেকে অবমুক্ত না হওয়ার পরও কীভাবে বরাদ্দ হলো, তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। ২০২২ সালের ১ নভেম্বর রিটের শুনানিতে ১০ দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজউকের চেয়ারম্যান ও সালাম মুর্শেদীকে হলফনামা আকারে নথি দাখিল করতে বলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রুল জারি করা হয়।

জাতীয় শীর্ষ সংবাদ