স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, জনগণ এদেশকে জঙ্গির আস্তানা হিসাবে দেখতে চায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিদের উত্থান বন্ধ করা হয়েছে। একের পর এক দুর্ধর্ষ জঙ্গি নিশ্চিহ্ন হচ্ছে। বিশ্বের বড় দেশগুলো যা পারছে না, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ তা পারছে।
তিনি আজ সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনে স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শীতকালীন ম্যারাথন ও কার্নিভাল উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজ এই কার্নিভালের আয়োজন করে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, হাসপাতালের গভর্নিং কমিটির চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত, স্থানীয় সংসদ সদস্য এনামুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত নূর আশিকিন মোহাম্মদ তায়েব বক্তৃতা করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ধর্মের নামে অল্পবয়সীদের বিভ্রান্ত করে জঙ্গি বানানোর অপকৌশল এখন সকলের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে। শান্তির ধর্ম ইসলামে হত্যা খুনের কোন স্থান নাই। যারা একাজ করে দেশে অস্থিশীলতা তৈরি করতে চায় তারা ব্যর্থ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে। নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত এ দেশ স্বাস্থ্যসেবায়ও অনেক দেশের কাছে উদাহরণ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত। ঢাকার অদূরে গাজীপুরে স্থাপিত শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল একদিন দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হাসপাতালের স্বীকৃতি পাবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার একান্ত আগ্রহে ঢাকার কাছাকাছি শ্রমঘন এলাকায় একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশেষায়িত হাসপাতাল সরকার নির্মাণ করেছে যেখানে শ্রমজীবী ও গরিব মানুষসহ সর্বস্তরের জনগণ বিনামূল্যে উন্নত চিকিৎসা পাবে। সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি সজ্জিত এই হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সেবা দিচ্ছেন। মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্যখাতের সবচাইতে বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান কেপিজে গ্রুপ এই হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে। তাই অদূর ভবিষ্যতে এর সেবার মান দক্ষিণ এশিয়ার সেরার তালিকায় উঠে আসবে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ম্যারাথনে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।