চিরিরবন্দরে গাছের মালিকানাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ আহত মা ও মেয়ে হাসপাতালে

মোহাম্মাদ মানিক হোসেন চিরিরবন্দর(দিনাজপুর)প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে একটি আমড়া গাছের মালিকানাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে মা নাসিমা বেগম (৩০) ও মেয়ে সুমী আকতার (১৫) দশম শ্রেণির ছাত্রী আহত হয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার সন্ধায় উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের বানিয়াপড়ায়। এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ছোট ভাই আজহার আলীর বাড়ীর ভিতরে থাকা একটি আমড়া গাছ বড় ভাই আকরাম আলী দাবী করে আসছিল। এরই জের ধরে গত ৩ সেপ্টেম্বর বিকালে দুই সহোদরের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হলে বড় ভাই গাছের উপরে উঠে গাছের ডাল কাটতে থাকে একপর্যায় পা পিছলে মাটিতে পড়ে গেলে গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন ও প্রতিবেশীরা তাকে চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। আহত আকরাম অন্য তিন সহোদর এরশাদ আলী, আজাদ আলী ও লোকমান আলীকে নালিশ করে বলে গাছের উপরে থাকা অবস্থায় আজহার তার পায়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে মাটিতে পড়ে যায়। এরই জের ধরে পরদিন সন্ধায় ক্ষিপ্ত তিন সহোদরসহ লোকমানের স্ত্রী শরিফা পুত্র শরিফুল এরশাদের স্ত্রী মনজিলা পুত্র মঞ্জুরুল পুত্রবধু আরিফা আজাদের স্ত্রী রিনা আকরামের স্ত্রী লায়লাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা মিলে আজহারকে তার ঘরে আটকে রেখে স্ত্রী নাসিমা ও মেয়ে সুমী আকতারকে বাড়ী হতে টেনে হেচড়ে বের করে এনে বেদম প্রহার করে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ক্ষতবিক্ষত করে। এমনকি তাদের জামা কাপড়সহ ছিড়ে বিবস্ত্র করে এ অবস্থায় তাদের জ্ঞান হারিয়ে গেলে প্রতিবেশীর বেশ কয়েকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌছার চেষ্টা করে। সেখানেও তারা বাধা প্রদান করে। পরে কৌশলে তাদের চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে মা মেয়ে দুজনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ মর্তুজা আল মামুন জানান, মেয়ের চেয়ে মায়ের আঘাত বেশী হয়েছে। এ ব্যাপারে চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ হারেসুল ইসলাম জানান, এখনো কোন অভিযোগ পাইনি অভিযোগপত্র পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আজহার আলী জানায়, মা মেয়ে একটু সুস্থ্য হলেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হবে।

সারাদেশ