আলতাফ মাসুদ
দেশের বীমা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছে বেসরকারি ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। বীমা কোম্পানিটির উদ্যোক্তা-পরিচালকরা ব্যবস্থাপনা
কর্তৃপক্ষকে হাত করে নিকটাত্মীয়দের কাছ থেকে অভাবিত মূল্যে জমি কিনে এবং ব্যাংকে গচ্ছিত কোম্পানির আমানত বন্ধক রেখে ২ হাজার ১২৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে একটি তদন্তে উঠে এসেছে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসির তদন্তে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানটি অভিযুক্ত হলেও বিস্ময়ের বিষয় হলো, বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ এ নিয়ে আশ্চর্যজনকভাবে নীরব। ফারইস্ট লাইফের সাবেক কর্মকর্তা আইডিআরএর বর্তমান চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন এ নিয়ে কথা বলতেও রাজি নন।
প্রায় এক দশক ধরে লুটপাট চললেও জাল প্রতিবেদন দিয়ে এসব আড়াল করেছে একাধিক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক এসইসি এ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ^াস দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট নথি ও দেশ রূপান্তরের অনুসন্ধান বলছে, উদ্যোক্তা-পরিচালকদের বড় অংশ এই লুটপাট ও অর্থ পাচারে জড়িত থাকলেও সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী হচ্ছেন ফারইস্ট লাইফের অপসারিত চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও উদ্যোক্তা-পরিচালক এমএ খালেক। নিকটাত্মীয় ও ব্যবসায়িক অংশীদারদের মাধ্যমে অস্বাভাবিক দরে জমি কিনে ফারইস্ট লাইফের ৮৫৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন নজরুল ইসলাম। এছাড়া প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি ও প্রাইম এশিয়া ফাউন্ডেশনের নামে ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স থেকে বেআইনি বিনিয়োগ করে ১০৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন নজরুল ইসলাম। তিনি ওই দুটি প্রতিষ্ঠানের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান। এর বাইরে কর্মচারীদের স্বাক্ষরে জাল ব্যাংক হিসাব খুলে ভুয়া কমিশন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে নজরুলের বিরুদ্ধে।বিস্তারিত