খুলনার নবনির্বাচিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের বিজয়ে দলের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুলের তৈরি নৌকা দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
গতকাল রবিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবন গণভবনে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে নবনির্বাচিত মেয়র প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শেখ হেলাল এমপি এবং দলের কেন্দ্রীয় ও খুলনার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ মে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় নবনির্বাচিত মেয়র এবং খুলনাবাসীকে অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, দলের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে যে কোন নির্বাচনে জয়লাভ আওয়ামী লীগের জন্য কোন কঠিন কাজ নয়, তা আবার প্রমাণিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের ওপর জনগণের আস্থা থাকার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা সরকারে এসে দিনবদলের সনদ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিগত ৯ বছরে দেশের মানুষকে উন্নত জীবন দিতে সক্ষম হয়েছি।’
তিনি বলেন, জনগণের ভোট ও সমর্থন আওয়ামী লীগের পক্ষে রয়েছে। যতগুলো আন্তর্জাতিক সংস্থা সার্ভে করেছে তারা দেখেছে গণমানুষের আস্থার জায়গায় আওয়ামী লীগের অবস্থান অনেক ওপরে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন পুরোপুরি স্বাধীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। তারা দলীয় মন্ত্রীদের নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ করতে দেয়নি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনের যে রকম নিয়ম, তাতে আমাদের হাত-পা বাঁধা।
শেখ হাসিনা বলেন, ভারত এবং যুক্তরাজ্যে এ ধরনের নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত অংশগ্রহণ করে থাকে।
খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতো সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশে কবে হয়েছে? তারপরও যারা এই নির্বাচন নিয়ে কথা বলে তাদের আমি এই জবাব দিতে চাইÑ বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে যে খেলা, সিল মারা, ভোটের বাক্স চুরি করাসহ যত অপকর্ম হয়েছে তা শুরু করে গেছেন জিয়াউর রহমান।
প্রধানমন্ত্রী জিয়াউর রহমানের হ্যাঁ-না ভোট থেকে শুরু করে খালেদা জিয়ার ’৯৬-এর ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচন, মাগুরা, মিরপুর এবং ঢাকা-১০ নির্বাচনে ভোট চুরির অভিযোগ তোলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণার মাধ্যমে দেশে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির সূচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী খুলনা এবং মংলা এলাকার উন্নয়নে তাঁর সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে বিএনপি আমলে বন্ধ হয়ে যাওয়া কলকারখানা চালু, বিদেশে চিংড়ি রপ্তানি পুনরায় শুরু ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের কথা উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত করে গড়ে তোলায় তাঁর রাজনৈতিক অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।